AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manipur violence: স্মৃতি-মহুয়ার জমজমাট ‘টুইট যুদ্ধ’, উসকে দিল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ড

Smriti Irani vs Mahua Moitra: স্মৃতি ইরানি 'Depravity' (বাংলা অর্থ - নৈতিক হীনতা) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মৌনগুরু বলে কটাক্ষ করে স্মৃতি ইরানিকে উদ্দেশ করে মহুয়া মৈত্র বলেন, "যদি মৌনগুরু অনুমতি দেন একটা অভিধান কিনুন।"

Manipur violence: স্মৃতি-মহুয়ার জমজমাট 'টুইট যুদ্ধ', উসকে দিল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ড
স্মৃতি ইরানি এবং মহুয়া মৈত্রImage Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2023 | 3:17 PM
Share

নয়া দিল্লি: মণিপুরে হিংসা এবং মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করেছে জাতীয় কংগ্রেস। আর সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে টুইট যুদ্ধে জড়ালেন স্মৃতি ইরানি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রিপোর্ট কার্ডে স্মৃতি ইরানিকে দেশের ‘মহিলাদের দুর্দশা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ’ বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দল এক টুইট পোস্টে আরও অভিযোগ করেছে, মণিপুরে গত দুই মাস ধরে মহিলাদের উপর যে যৌন হিংসা চলছে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। ভাইরাল ভিডিয়োটি সামনে আসার পর, দুই মাস পর তিনি হঠাৎ জেগে উঠেছেন।

কংগ্রেসের প্রকাশিত এই রিপোর্ট কার্ড নিয়েই টুইট যুদ্ধ শুরু হয়েছে স্মৃতি ইরানি এবং মহুয়া মৈত্রর মধ্যে। কংগ্রেসের এই রিপোর্ট কার্ডের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, নৈতিক হীনতা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অবজ্ঞা করার বিষয়ে কংগ্রেস দলই শ্রেষ্ঠ। টুইট করে তিনি অভিযোগ করেন, মহিলাদের অত্যাচারের হিসেব রাখে, খুব কম দলেই এমন নৈতিক হীনতা দেখা যায়। অবিরামভাবে কংগ্রেসের ইচ্ছাকৃত অজ্ঞতার দৃষ্টান্ত দেখা যায় বলেও দাবি করেন তিনি। এই দুই ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের স্কোর অত্যন্ত ভাল বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাজপরিবার যদি অনুমতি দেয় তবে এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা করুন।”

স্পষ্টতই স্মৃতি ইরানির আক্রমণের লক্ষ্য ছিল জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু, কংগ্রেসের হয়ে স্মৃতিকে জবাব দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্মৃতি ইরানি ‘Depravity’ (বাংলা অর্থ – নৈতিক হীনতা) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই ইংরাজি শব্দটির অর্থ বোঝার জন্য স্মৃতি ইরানিকে অভিধান দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা টুইটে মহুয়া অভিযোগ করেছেন, মণিপুর ইস্যু থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর জন্য অন্য রাজ্যে ভুয়ো খবর ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির এই প্রচেষ্টাই সত্যিকারের নৈতিক পতন বলে দাবি করেন মহুয়া। মণিপুরে মহিলাদের উপর যৌন হিংসা থেকে শুরু করে রাজধানীর বুকে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর নীরবতার সমালোচনা করেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মৌনগুরু বলে কটাক্ষ করে স্মৃতি ইরানিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যদি মৌনগুরু অনুমতি দেন একটা অভিধান কিনুন।”

গত বুধবার, মণিপুর থেকে এক নক্কারজনক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছিল। সেই ভিডিয়োতে কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে ঘোরাতে দেখা গিয়েছিল। তাদের ঘিরে ছিল কয়েকসো দুষ্কৃতী। তাদের হাতে মহিলাদে চরম হেনস্থার দৃশ্য দেশব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ৩ মে মণিপুরে হিংসার সূচনা ঘটেছিল। তার পরে দিনই কাংপোকপি জেলায় ওই ঘটনা ঘটেছিল। ভিডিয়োটিতে যে দুই মহিলাকে দেখা গিয়েছে, তাঁদের একজনকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও, দীর্ঘদিন এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভাইরাল ভিডিয়োটি সামনে আসার পর থেকে অবশ্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দোষীদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, বাংলার কথা উল্লেখ করে, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।