MCD Polls: দিল্লির পুরভোটে ‘বঞ্চিত’ বাঙালি, ক্ষোভ উগরে দিল রাজধানীর ‘মিনি কলকাতা’

MCD Polls: রবিবার (৪ ডিসেম্বর), ছিল দিল্লির পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিল্লির বাঙালিরা।

MCD Polls: দিল্লির পুরভোটে 'বঞ্চিত' বাঙালি, ক্ষোভ উগরে দিল রাজধানীর 'মিনি কলকাতা'
ভোট দিতে এসে ক্ষোভের কথা জানালেন দিল্লির বাঙালিরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 5:37 PM

নয়া দিল্লি: রবিবার (৪ ডিসেম্বর), দিল্লির পুরনিগমের ভোটগ্রহণ করা হল। কিন্তু, এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষুব্ধ দিল্লির বাঙালিরা। বিজেপি, আপ কিংবা কংগ্রেস – কোনও দলই বাঙালিদের সম্মান করে না বলে দাবি দিল্লির বাঙালিদের। কেন পুর নির্বাচনে একজনও বাঙালি প্রার্থী দেওয়া হয়নি, এই নিয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। ভোট মেশিনেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। এমনিতে ভোটদানের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন হলেও, এদিন দিল্লির ‘মিনি কলকাতা’ চিত্তরঞ্জন পার্কে ভোট পড়ল অত্যন্ত কম। ভোট না দিয়েই তাঁদের ক্ষোভ জানালেন দিল্লির বাঙালিরা। কোভিডের সময়ে বিজেপি অত্যন্ত ভাল কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, কেন কোনও বাঙালি প্রার্থী দেওয়া হল না, সেই আক্ষেপ যাচ্ছে না তাঁদের। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, আর কত দিন বঞ্চিত হবে বাঙালিরা?

দীর্ঘদিন ধরেই চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার বাসিন্দা স্নিগ্ধা রায়। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি রাজধানী এলাকায় অন্তত ২০ থেকে ২৫ লক্ষ বাঙালি আছে। কিন্তু কোনও দলই বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়নি। পুর নির্বাচনে কোথাও কোনও দল কোনও বাঙালিকে প্রার্থী করেনি। ভাল ভাল কর্মী থাকা সত্ত্বেও তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওয়ার্ড নম্বর ১৭১, অর্থাৎ চিত্তরঞ্জন পার্ক ওয়ার্ডে বিজেপি দলেই প্রার্থী হওয়ার উপযুক্ত অন্তত ৬ জন বাঙালি ছিলেন। কিন্তু, সম্ভবত বাঙালি হওয়াতেই তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই দুপুর ১টা বেজে গেলেও মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে চিত্তরঞ্জন পার্কে।

বাঙালি প্রার্থী না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অর্ণা দাসও। তিনি নিজেই গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি দলকে বলেছিলাম আমি একজন বাঙালি। চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা বাঙালি। আমি বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমি জানি কীভাবে পুরসভাকে দিয়ে কাজ করাতে হয়। কোন উকিলকে ধরতে হবে, আদালতে কোথায় কোন কাজ করতে হবে, সব আমি জানি। তা সত্ত্বেও আমায় টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে দল। তিনিও কাজ করেছেন, তবে আমাদের মতো নয়। দিল্লির বাঙালিদের সঙ্গে সব পার্টি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার আরেক বাঙালি ভোটার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বাঙালি প্রার্থী না পাওয়ার আক্ষেপ তাঁদের রয়েছে। বিশেষ করে, বিজেপি পরিবারবাদ বিরোধী বলে, তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশাটা বেশিই ছিল। কিন্তু বিজেপিও বাঙালি প্রার্থী দেয়নি। তবে, কোভিডের সময় বিজেপি যেভাবে পরিষেবা দিয়েছে, তা মনে রেখেই তিনি ভোট দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, “পুরভোটে কেউ দল দেখে না। ভোট দেয় পরিষেবা কেমন পেয়েছে, সেই বিচারে। কোভিডের ২-৩ বছরে বিজেপি দারুণ পরিষেবা দিয়েছে। যখন দরকার পড়েছে বিজেপির কাউন্সিলরকে পাওয়া গিয়েছে।”

চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এর আগে একবারই বাঙালি প্রতিনিধি পেয়েছিলেন। আনন্দ মুখোপাধ্য়ায় চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার কাউন্সিলর হয়েছিলেন। কিন্তু, তা ঘটেছিল ২০ বছর আগে। তারপর থেকে আর বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব পাওয়া যায়নি। এবারের নির্বাচনে চিত্তরঞ্জন পার্ক থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাকেশ গুলিয়াকে। এছাড়া কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ভাবনা গুপ্তা এবং আপ প্রার্থী হয়েছেন কৃষাণ জখর।