নয়া দিল্লি: চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নয়া দিল্লিতে (New Delhi) জি-২০ সামিট (G-20 Summit) বসছে। তার আগে দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পৃথক বৈঠক শুরু হয়েছে। এবার জি-২০-র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবে সংবাদমাধ্যমও। তবে সব বৈঠক নয়, আগামী মাসে আয়োজিত কৃষি মন্ত্রক (agriculture Ministry), পর্যটন (Tourism) এবং শিক্ষামন্ত্রীদের (Education Ministers) বৈঠকেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। কেন্দ্রের তরফে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে। কবে, কোথায়, কোন মন্ত্রকের বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে টুইটে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুন গোয়ায় বসছে জি-২০ -র পর্যটন মন্ত্রকের বৈঠকের। মূলত, পর্যটন ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আরও কিভাবে পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়, সেই বিষয়ে পর্যালোচনা হবে বৈঠকে। সেই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। এরপর আগামী ১৫ জুন হায়দরাবাদে বসছে কৃষি মন্ত্রকের বৈঠক। মূলত, কৃষি মন্ত্রী ও ডেপুটিদের বৈঠক হবে। এই বৈঠকেও কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতির পর্যালোচনার পাশাপাশি আরও বৈজ্ঞানিক উপায় প্রয়োগ করে কিভাবে কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন ঘটানো যায় এবং কৃষকেরা কিভাবে লাভবান হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই বৈঠকেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার অনুমতি মিলেছে। এরপর আগামী ২২ জুন পুনেতে আয়োজিত হবে শিক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক। শিক্ষাক্ষেত্রের প্রসার ঘটানোই এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতীয় শিক্ষানীতি সব রাজ্যে প্রয়োগ এবং তার ফল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠকেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জি-২০ ইন্ডিয়া-র তরফে করা টুইটে জানানো হয়েছে।
#G20India Update!
Media accreditation for the following meetings is open :
➡️ 3rd Agriculture Deputies Meeting and Agriculture Ministers Meeting
➡️ Tourism Ministers Meeting
➡️ Education Ministers MeetingApply now ? https://t.co/GqURe4zJhQ pic.twitter.com/icnxNvqe8f
— G20 India (@g20org) May 19, 2023
উল্লেখ্য, এবছর জি-২০ সামিটের সভাপতিত্ব করছে ভারত। তাই বছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সাজো-সাজো রব। জি-২০ সামিট পূর্ণাঙ্গরূপে সফল করতে বছরের গোড়া থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট-ছোট একাধিক পৃথক বৈঠকের আয়োজন করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই সমস্ত বৈঠকে দেশের পাশাপাশি বিদেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকছেন। আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী কাশ্মীরে পর্যটন কার্যনির্বাহী গোষ্ঠীর বৈঠক হবে। যদিও কাশ্মীরে আয়োজিত হওয়ার জন্য এই বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে চিন। তবে দেশের ভূ-খণ্ডে কোথায় বৈঠকের আয়োজন করা হবে, সে ব্যাপারে ভারত কারও পরামর্শ শুনবে না বলে পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। উপত্যকায় জি-২০ বৈঠকে নাশকতারও আশঙ্কা রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা।