নয়া দিল্লি: জি-৭ সামিটে (G-7 Summit) যোগ দিতে জাপানের হিরোসিমায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেখান কেবল জি-৭ বৈঠকে যোগ দেননি, একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তাঁর হাতেই হিরোসিমায় উন্মোচিত হল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) আবক্ষমূর্তি। তারপর জাপানের প্রধানমন্ত্রী (Japan PM) ফুমিও কিশিদার সঙ্গে পৃথক বৈঠক, জি-৭ সামিট মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden) সঙ্গে আলিঙ্গন-সহ একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ও কর্মব্যস্ততার মধ্যে সারাদিন কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সমস্ত ঘটনার টুকরো-টুকরো অংশ টুইটারে তুলে ধরেছেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে জাপানকে এই মূর্তিটি দিয়েছে ভারত। সেই মূর্তির উন্মোচনের মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইট-পোস্টে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। পরমাণু যুদ্ধে বিধ্বস্ত হিরোসিমায় ভারতের জাতির জনক তথা অহিংসতার প্রতীক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নরেন্দ্র মোদীর টুইট-পোস্টে দেখা যাচ্ছে, গান্ধীজির মূর্তি উন্মোচনের পর তাঁর প্রতি পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবার প্রথমে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পাওয়া বড় সৌভাগ্য। মূর্তি উন্মোচনের পর সেখানে উপস্থিত জনগণকে করজোড়ে অভিবাদন জানাতেও দেখা যায় নমো-কে। আর তখনই শোনা যায় ‘মোদী-মোদী’ শ্লোগান। হিরোসিমার মাটিতে ‘মোদী-মোদী’ শ্লোগান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
Here are highlights from the day’s proceedings at the Hiroshima G-7 Summit. pic.twitter.com/HZaAjzAFeD
— Narendra Modi (@narendramodi) May 20, 2023
এদিন সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর জি-৭ সামিটে যোগদান করেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আলিঙ্গন করতেও দেখা যায়। সেই মুহূর্তের ভিডিয়োও এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট-পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে। হিরোসিমায় সামিট মঞ্চে জি-৭ -এর সকল প্রতিনিধির সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর আলিঙ্গন স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও বার্তাবহ। এরপর জাপানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। জাপানের পাশাপাশি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সহ জি-৭ -এর অন্যান্য প্রতিনিধির সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে করমর্দন করতে দেখা যায় ফুমিও কিশিদার সঙ্গে। এছাড়া জি-৭ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোদীকে পৃথকভাবে বৈঠকও করতে দেখা যাচ্ছে টুইট-পোস্টে। অর্থাৎ জি-৭ সামিট মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ব ও শান্তির বার্তা দিলেন, তা বলা বাহুল্য।