Cyrus Mistry’s Death: ৬৮ লক্ষের গাড়িতে রক্ষাকবচ কী ছিল? সাইরাসের মৃত্যুর পর প্রথম বিবৃতি দিল মার্সিডিজ
Mercedes-Benz's Statement after Cyrus Mistry's Death: দুর্ঘটনার সময় ৬৮ লক্ষ টাকার মার্সিডিজ় গাড়িতে ছিলেন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি। তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম বিবৃতি দিল মার্সিডিজ-বেঞ্জ ইন্ডিয়া। সংস্থার পক্ষ থেকে এ
নয়া দিল্লি: রবিবার বিকেলে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হয়েছে টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর পান্ডোলের। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা একটি মার্সিডিজ জিএলসি ২২০ডি ৪এসএটিআইসি (Mercedes GLC 220d 4MATIC) গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় একটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছিল তাঁদের গাড়িটি। এই বিলাসবহুল গাড়িতে দুর্ঘটনায় কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাড়িটির নির্মাতা মার্সিডিজ-বেঞ্জ সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হল। সংস্থা এদিন বলেছে, গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে তারা সব রকম সহযোগিতা করছে।
মার্সিডিজ-বেঞ্জ ইন্ডিয়া এদিন বলেছে, “গ্রাহকের গোপনীয়তাকে সম্মান করেই একটি দায়িত্বশীল ব্র্যান্ড হিসাবে, আমাদের দল যতদূর সম্ভব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং আমরা প্রয়োজনে সরাসরি তাদের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্টতা দেব।” জার্মান গাড়ি নির্মাতকা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, দায়িত্বশীল গাড়ি প্রস্তুতকারক হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা তারা চালিয়ে যাবে। তাদের তৈরি গাড়িগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তি দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছে তারা। সংস্থাটি বলেছে, “দুর্ভাগ্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গীর পান্ডোলের অকালমৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে অনাহিতা পান্ডোল এবং দারিয়াস পান্ডোল সুস্থ হয়ে উঠছেন, এটা আনন্দের বিষয়। আমরা তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
এদিন মার্সিডিজ বেঞ্জ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িটি থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য গাড়ির টায়ারের চাপ এবং ব্রেক ফ্লুইডের স্তরের মতো অন্যান্য বিষয়েরও তদন্ত করা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গাড়িটিতে সামগ্রিকভাবে সাতটি এয়ারব্যাগ ছিল। এই গাড়িটির সর্বশেষ সংস্করণটির দাম ৬৮ লক্ষের উপরে বলে জানা গিয়েছে। গাড়িটিতে একটি ‘প্রি-সেফ সিস্টেম’ বা প্রাক-নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যেখানে সামনের সিট বেল্টগুলি বৈদ্যুতিনভাবে লক হয়ে যায়। মার্সিডিজ-বেঞ্জ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটের মতে, এই প্রাক-নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্ঘটনার সময় ব্রেকিং বা স্কিডিংয়ের সময় যাত্রীদের সামনে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়।