Hindu Marriage Act : দাম্পত্য অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
Hindu Marriage Act : হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার সেই আবেদনের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়েছে।
নয়া দিল্লি : হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারা, বিশেষ বিবাহ আইনের ২২ নম্বর ধারা এবং সিভিল কোডের আদেশ ২১ এর ২২ ও ২৩ নম্বর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। এই সবকটি ধারাই দাম্পত্য অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার সেই আবেদনের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়েছে।
এই হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বিবাহের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য একটি ‘বৈধ রাষ্ট্র স্বার্থ’ রয়েছে। দম্পতিদের তাঁদের বৈবাহিক প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই বিধানের একটি যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক রয়েছে। বিধিবদ্ধ আইনের একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে বিবাহ। বিবাহ হল একটি প্রতিষ্ঠান। বিবাহ এমন একটি বিষয় যা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সম্পর্ককে রক্ষা করার জন্য একজন পুরুষ ও মহিলার মধ্যে অধিকার, বাধ্যবাধকতা, কর্তব্য এবং শর্তের ভারসাম্যকে এক সূতোয় বাঁধে। আইন ও বিচার মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এই হলফনামা দাখিল করেছেন। এই হলফনামায় বলা হয়েছে, আবেদনকারী যা উল্লেখ করেছেন যে, বিবাহ কেবলমাত্র একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, সেই ধারণা ভুল। হলফনামায় বলা হয়েছে,’এই ধারণা ভুল। কারণ বিবাহের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক দিক ও জনসাধারণের বিষয় জড়িত থাকে।’
প্রসঙ্গত, কে. এস পুট্টাস্বামী ও ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার একটি মামলায় কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল কোনও বৈবাহিক বিচ্ছেদ মামলায় স্বামী স্ত্রীকে বিবাদ মিটিয়ে বিবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে কোনও গোপনীয়তার অধিকারের মতো কোনও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয় না। কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই পাল্টা হলফনামা দাখিল করেছে কেন্দ্র। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে যে, কোনও বিবাহ রক্ষার্থে সেখানে স্বামী-স্ত্রীকে সহবাস, যৌন মিলনে অংশ নেওয়া সহ একাধিক পরামর্শ দেওয়ায় সেই দম্পতির ব্যক্তিগত পছন্দের উপর আঘাত করা হয়। শুধু জবরদস্তিমূলক নয় এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল ও কাল্পনিক।