Milind Deora on Modi: ‘মোদী আমেরিকায় যা বলেছিলেন খুশি হয়েছিল কংগ্রেস কর্মীরাও’
Milind Deora on Modi: ব্যক্তিগত সম্পর্ককে তিনি সবসময় রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে রেখেছেন। আর এই কারণেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও কিংবা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুরের মতো অন্য দলের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও তিনি কখনও পিছিয়ে আসেননি। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মুরলি দেওরার সঙ্গেও তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এমনই।
মুম্বই: ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের গণ্ডি কখনই বাধা হয়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। ব্যক্তিগত সম্পর্ককে তিনি সবসময় রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে রেখেছেন। আর এই কারণেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও কিংবা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুরের মতো অন্য দলের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও তিনি কখনও পিছিয়ে আসেননি। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মুরলি দেওরার সঙ্গেও তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এমনই। সম্প্রতি তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওয়াও সেই কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন মিলিন্দ দেওরা। যোগ দিয়েছেন, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা শিবিরে। সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও, বর্তমানে বিজেপির শরিক দলে আছেন মিলিন্দ। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসে থাকাকালীন, বস্তুত প্রথম সাক্ষাতের সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদী তাঁর মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। বুঝেছিলেন, এই নেতা বাকিদের থেকে ব্যতিক্রমী।
কী ঘটেছিল? মিলিন্দ দেওরা জানিয়েছেন, প্রয়াত বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের শেষকৃত্যে তাঁর সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর। মুম্বইয়ের দাদারে শেষকৃত্য হয়েছিল প্রমোদ মহাজনের। সেই সময় নরেন্দ্র মোদী ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। আর ২৭ বছরের তরুণ মিলিন্দ দেওরা ছিলেন প্রথমবারের সাংসদ। ছোট্ট মঞ্চে প্রথম সারিতে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। দ্বিতীয় সারিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতারা। আর তার পরের সারি ছিল সাংসদদের জন্য সংরক্ষিত। নরেন্দ্র মোদী ছিলেন দ্বিতীয় সারিতে, আর তার ঠিক পিছনের চেয়ারেই ছিলেন মিলিন্দ দেওরা। সেই সময় প্রায় কেউই তাঁকে চিনতেন না। সৌজন্য বশত:নরেন্দ্র মোদীকে নমস্কার করেছিলেন।
মিলিন্দ ধরেই নিয়েছিলেন মোদী তাঁকে চেনেন না। কিন্তু, তাঁকে চমকে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁর দিকে ঘুরে বলেছিলেন, ‘মিলিন্দ ভাই, কেমন আছেন?’ শুধু তাই নয়, যেখানে অন্তেষ্টিক্রিয়া হচ্ছে, সেই জায়গাটি তাঁর সাংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে কিনা, তাও জানতে চান। মিলিন্দ দেওরা বলেছেন, আমি বুঝেছিলাম, এই ব্যক্তি একেবারে নীচের স্তরের খবরও রাখেন। সব কথা জানেন। সবার নাম মনে রাখতে পারেন। কোনও জনপ্রতিনিধির জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ।”
আমেরিকায় গিয়ে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাঁর বাবা মুরলি দেওরাকে মোদী কীভাবে সম্মান জানিয়েছিলেন, সেই কথাও স্মরণ করেছেন মিলিন্দ। ট্রাম্প জমানায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমেরিকার হিউস্টনে নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। ‘হাউডি মোদী’ নামে সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়নে মুরলি দেওরার অবদান স্বীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মিলিন্দ দেওরা জানিয়েছেন, ওই সময় এই বিষয়ে একটি টুইট করেছিলেন মোদী। মোদী বলেছিলেন, ‘আজ আমার বন্ধু মুরলি দেওরা সত্যিই খুশি হতেন।’ নরেন্দ্র মোদীর এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দেখে ফের চমকে গিয়েছিলেন মিলিন্দ দেওরা। সেদিন বুঝেছিলেন, দেশের স্বার্থকে নরেন্দ্র মোদী দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখেন। তাঁর পরিবার পরিজনও এতে অত্যন্ত গর্ববোধ করেছিলেন। মুরলি দেওরার অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ায় সেই সময় কংগ্রেস দলের কর্মীরাও খুব খুশি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মিলিন্দ দেওরা।