AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Veda Education Board: বেদ পাঠেও মিলবে ডিগ্রি! বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় উদ্যোগ শিক্ষা মন্ত্রকের

Veda Education Board: দেশে বৈদিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে 'জাতীয় শিক্ষা নীতি'র আওতায় একটি বেদ-ভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

Veda Education Board: বেদ পাঠেও মিলবে ডিগ্রি! বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় উদ্যোগ শিক্ষা মন্ত্রকের
বেদপাঠ'কে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 3:28 PM
Share

নয়া দিল্লি: দেশে বৈদিক শিক্ষার প্রসারে শীঘ্রই একটি সম্পূর্ণ নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর, মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বেদ-ভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করা হবে। সরকারিভাবে স্বীকৃত এই বোর্ড কাজ করবে আর পাঁচটি শিক্ষা বোর্ডের মতোই করেই। এই নয়া বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং বৈদিক গণিতজ্ঞদের। ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’র আওতায় ভারতের ঐতিহ্যশালী বৈদিক ব্যবস্থাকে, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করাটাই তাদের লক্ষ্য বলে, জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।

বর্তমানে, ভারতে বৈদিক শিক্ষা চর্চা হলেও, কোনও স্বীকৃত বোর্ডের পাঠক্রমে এই বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ নেই। কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেদ পাঠে ডিগ্রিও দেওয়া হয় না। তবে, বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈদিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা দেওয়া হয়। যেমন, মহাঋষী সন্দীপনী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশ জুড়ে অন্তত ৬০০০ শিক্ষার্থীকে বৈদিক শিক্ষা দেওয়া হয়। এবার এই শিক্ষা ব্যবস্থাকেই, আধুনিক যুগে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, “বেদই হল ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি। বর্তমান যুগে বেদ পাঠকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেই বৈদিক শিক্ষা বোর্ড গঠন করবে মন্ত্রক।”

এই বোর্ডের আওয়তায় বৈদিক দর্শনের পাশাপাশি শিক্ষা দেওয়া হবে বৈদিক গণিতেরও। শিক্ষা মন্ত্রক বলেছে, আচার্য পিঙ্গলা, আচার্য আর্যভট্ট, রামানুজন, পুরীর আদি শঙ্করাচার্য জগদগুরু স্বামী ভারতীকৃষ্ণ তীর্থ মহারাজদের মতো গণিতজ্ঞদের নিয়ে ভারতে গণিত চর্চার এক সম্বৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। সেই সমৃদ্ধ গাণিতিক ঐতিহ্যে দেশের বর্তমান সময়ের যুবকরা পরিচালিত হোক এটাই চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যে, বিশেষ বৈদিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের পাশাপাশি চার ধাম এবং কামাক্ষা দেবী মন্দির এলাকায় মহাঋষী সন্দীপনী প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে ৫টি বেদ বিদ্যাপিঠ স্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ , বৈদিক গণিত শিক্ষার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ভারতীয় শিশুদের বৈদিক গণিত শেখালে তাদের অঙ্ক নিয়ে যাবতীয় ভয় কেটে যাবে। ‘মন কি বাত’-এ মোদী বলেছিলেন, “বৈদিক গণিত দিয়ে, বড় বড় বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধানও করা যায়। আমি চাই সকল বাবা-মা’রা তাঁদের সন্তানদের বৈদিক গণিত শেখান।”

প্রখ্যাত সংস্কৃত শিক্ষাবিদ হেমনগর কোটি প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। তিনি বলেছেন, “বৈদিক গণিত শিখলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, তেমনি তাদের মস্তিষ্কের বিশ্লেষণী ক্ষমতাও উন্নত হবে।” বেদ বিশেষজ্ঞ, বেদ শঙ্করলাল চতুর্বেদী দাবি করেছেন, বেদ শিক্ষা শুধু হিন্দুরা নন, মুসলিম-সহ যে কোনও ধর্মের মানুষই এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ, বেদ পাঠ কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়। বেদে মানুষ কীভাবে আরও ভাল জীবনধারণ করতে পারবে, তার বিজ্ঞান সংকলন করা হয়েছে।