নয়া দিল্লি: সূত্রের খবর, আগামী ৮ জুন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কেন ৮ জুন? যেভাবে এনডিএ শরিকদের ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট, তাতে যত দ্রুত সরকার গঠন করা যায়, ততই ভাল। তাহলে, বুধবার এনডিএ-র বৈঠকের পর সেই শনিবার পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করছেন নরেন্দ্র মোদী?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত, এর পিছনে সম্ভবত রয়েছে সংখ্যাতত্ত্ব বা নিউমরোলজির খেলা। আসলে, নরেন্দ্র মোদীর জীবনে ৮ সংখ্যাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও বহু বড় কাজ তাঁকে আট তারিখ করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর। ১ আর ৭ যোগ করলে হয় ৮। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন ৮ নভেম্বর রাত ৮টায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান শুরু করেছিলেন ২০১৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। ২ আর ৬ যোগ করলে হয় ৮। এমনকি, ২০১৫-র, ২+০+১+৫ করলেও হয় সেই ৮।
এবার জেনে নেওয়া যাক, সংখ্যাতত্ত্বে ৮-এর তাৎপর্য কী। সংখ্যাতত্ত্ববিদ বা নিউমরোলজিস্টদের মতে, ৮ সংখ্যাটি শনি গ্রহকে নির্দেশ করে। এটি ন্যায়বিচারের প্রতীক। একই সঙ্গে এটি রাজযোগেরও প্রতীক। যাদের শনি তুঙ্গে থাকে, সাধারণত, তাদের জীবনে সাফল্য আসে দেরিতে। তবে তা আসে বিপুল পরিমাণে। ৮ সংখ্যা দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিরা অত্যন্ত পরিশ্রমীও হন। নরেন্দ্র মোদীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৮ সংখ্যাটি সংখ্যাত্ত্বের দিক থেকেও ভারতের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি। সংখ্যাদুটির যার যোগফল ৮। আর কাকতালীয়ভাবে, ২০২৪ সালের ২+০+২+৪ করলেও হয় ৮। তাই, নরেন্দ্র মোদীর ৮ জুন শপথ গ্রহণ করাটা কেবলই কাকতালীয় বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মনে করা হচ্ছে, সব কিছু চিন্তাভাবনা করেই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদী শপথ নিয়েছিলেন ২৬ মে। এই ক্ষেত্রেও ২+৬ সেই ৮ হচ্ছে। ২০১৯ সালের শপথের তারিখ অবশ্য ছিল ৩০ মে। যার সঙ্গে ৮-এর কোনও সম্পর্ক নেই।