বৃন্দাবন: দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই রয়েছে বাঁদরের আতঙ্ক। দেশের বিভিন্ন শহরে বাঁদরের দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ হন সাধারণ মানুষ। পথচারীদের থেকে জিনিস কেড়ে নেওয়ার স্বভাবও রয়েছে বাঁদরের দলের। বাঁদরের উৎপাত কতটা ভয়ঙ্কর তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন জেলাশাসক। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জেলাশাসকের চশমা কেড়ে নেয় এক বাঁদর। কিছুতেই তা ফেরত দিতে রাজি নয় বাঁদরটি। চমশা না পেয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই জেলাশাসক। বেশ কিছুক্ষণ পর বাঁদর ফেরত দেয় চশমা। এই ঘটনার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মথুরার বৃন্দাবনে।
ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসার সুশান্ত নন্দা নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন সেই ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “ভারতের কোনও জেলায় জেলাশাসকের থেকে ক্ষমতাশালী কাউকে দেখেছেন।” জানা গিয়েছে, মথুরার জেলাশাসক নবনীত চহ্বালের সঙ্গে ঘটেছে এই ঘটনা। সম্প্রতি কোনও কাজে বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বাঁদর চশমা কেড়ে নিয়েছিলেন জেলাশাসকের। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, জেলাশাসকের চশমা নিয়ে পাশের একটি বাড়ির সিঁড়িতে বসে রয়েছেন ওই বাঁদরের দল। সেখানেই লাফালাফি করছে তারা। জেলাশাসকের সঙ্গে পুলিশ এবং অন্য় অফিসাররাও রয়েছেন। কিন্তু বাঁদরের এই বাঁদরামির সামনে তাঁরাও অসহায়। তাঁরা চেষ্টা করছেন বাঁদরের কাছ থেকে চশমা নেওয়ার। কিন্তু বাঁদর তা শুনলে তো। অবশেষে খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই বাঁদরের থেকে জেলাশাসকের চশমা উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। তার পর জেলাশাসককে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
If you had not seen someone more powerful than District Magistrate of a District in India?
Monkey snatches glasses from DM Navneet Chahal in Vrindavan, Mathura.After some pleading,the monkeys returned the glasses. pic.twitter.com/YTERfjh62G— Susanta Nanda IFS (@susantananda3) August 21, 2022
রবিবার সন্ধ্যায় এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সুশান্ত ইতিমধ্যেই তা দেখা হয়েছে ২৫ হাজার বারের বেশি। সেই ভিডিয়োয় কমেন্ট করেছেন অনেকে। বাঁদরের হাতে হেনস্থার অভিজ্ঞতার কথাও তাঁরা জানিয়েছেন সেই ভিডিয়োয়। এক নেটিজেন যেমন বলেছেন, “আমার সঙ্গেও এ রকম হয়েছিল। আমার চশমা নিয়ে বাঁদর পোলের উপরে উঠে যায়। এক বাচ্চা একটি ফ্রুটি ছুড়ে দেয় বাঁদরের দিকে, তার পর আমার চশমা ফেলে দেয় বাঁদরটি। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে এই নাটক চলেছিল। ওই বাচ্চা ছেলেটিকে আমি ৫০ টাকা দিয়েছিলাম।”