Morbi Bridge Collapse: ‘দুঃখজনক ঘটনা’, মোরবি সেতু বিপর্যয়ে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Morbi Bridge Collapse: মোরবির সেতু বিপর্যয়ের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি গুজরাট হাইকোর্টকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Morbi Bridge Collapse: 'দুঃখজনক ঘটনা', মোরবি সেতু বিপর্যয়ে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 4:20 PM

গান্ধীনগর: গত মাসের শেষের দিকেই গুজরাটের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ের (Morbi Bridge Collapse) ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১৪০ জনের। সেই ঘটনায় তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার পর একাধিক তত্ত্বও উঠে এসেছিল। গুজরাট হাইকোর্টে আপাতত এই মামলা চলছে। মোরবির স্থানীয় প্রশাসন আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে,সময়ের কিছুদিন আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতু। এইবার সোমবার মোরবি সেতু বিপর্যয়কে দুঃখজনক ঘটনা বলে অভিহিত করল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও গুজরাট হাইকোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে এবং এই মর্মে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। তাই এখন আর কোনও আবেদন শোনা হবে না। তবে মামলাকারীকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করতে পারেন এবং স্বাধীন তদন্তের দাবি জানাতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে ব্রিটিশ আমলের এক কেবল সেতু ভেঙে পড়ে। হুড়মুড়িয়ে নদীতে পড়েন সব মানুষ। সেই মুহূর্তে ব্রিজে প্রায় ৫০০ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শোক প্রকসাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের তরফে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে জানা গিয়েছিল, এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পর সম্প্রতিই তা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য় খুলে দেওয়া হয়। তবে খোলার আগে কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না বলেই অভিযোগ ওঠে। পরে মোরবি প্রশাসন স্বীকার করে নেয়, সেতুটি একটু তাড়াতাড়ি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।