নয়া দিল্লি: বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৩৬ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৭০ জন। কিন্তু দেশে করোনার কোপ এই সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। করোনার ছোবলে জীবন বদলে গিয়েছে লাখো লাখো মানুষের। চাকরি হারিয়ে বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছেন অনেকে। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল দীর্ঘ লকডাউনের (Lockdown) পরও অতিমারির কোনও বিরূপ প্রভাব পড়েনি দেশের ধনীদের উপর। অন্য দিকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গরিবরা।
বেসরকারি সংস্থা অক্সফেমের সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের প্রভাবে লক্ষ-কোটিপতিদের আয় বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের ৮৪ শতাংশ পরিবারেরই কমেছে আয়। অক্সপেমের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রতি ঘন্টায় চাকরি হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার চাকুরিজীবী। দেশের প্রথম সারির ১০০ ধনী ব্যক্তির যে হারে আয় বেড়েছে তাতে ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ গরিব মানুষকে ৯৪ হাজার ৪০৫ টাকা করে চেক দেওয়া যেত।
পরিসংখ্যানের চমকপ্রদ বিষয় হয়ে উঠেছেন মুকেশ অম্বানী। তথ্য অনুযায়ী, মুকেশ অম্বানী এক সেকেন্ডে যা রোজগার করেছেন, সেই একই পরিমাণ টাকা রোজগার করতে একজন অদক্ষ কর্মীর সময় লাগত প্রায় ৩ বছর। আর অম্বানী মহামারীর সময় ১ ঘন্টায় যা রোজগার করেছেন, তা রোজগার করতে ওই অদক্ষ ব্যক্তির সময় লাগবে প্রায় ১০ হাজার বছর।
আরও পড়ুন: মামলা করতে হবে বাংলা থেকেই, খারিজ করে বিজেপিকে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
এই বিপুল আয় বৃদ্ধির জন্য দেশের ১১ জন প্রথম সারির ধনী ব্যক্তিকে আয়কর দিতে হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। বিশ্বের ক্ষেত্রেই বিষয়টা আলাদা নয়। সারা বিশ্বে শুধুমাত্র ১৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আয় বেড়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই একই সময়ে বিশ্বে বিপুল হারে মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে চলে গিয়েছেন। অর্থাৎ অক্সফেমের রিপোর্টে একটা বিষয় স্পষ্ট, লকডাউনে গরিব আরও গরিব হয়েছে। আর ধনী হয়েছে আরও ধনী।