মুম্বই: মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে মাদককাণ্ডে (Mumbai Cruise Drug Case) শুরু হয়েছে পাল্টা দোষারোপের পালা। গ্রেফতারির আগেই মুম্বই মাদককাণ্ডে এনসিবি(NCB)-র অন্য়তম সাক্ষী কিরণ গোসাভি (Kiran Gosavi)। তিনি বলেন, প্রভাকর সেইলের ফোন রেকর্ড ও চ্যাট পরীক্ষা করা উচিত। তাহলেই জানা যাবে বিগত পাঁচদিনে তিনি কত টাকা ঘুষের প্রস্তাব পেয়েছেন।
মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার ও আরিয়ান খান(Aryan Khan)-র গ্রেফতারি নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা বাড়ছে। গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল কয়েকদিন আগেই দাবি করেছেন, তিনি কিরণ গোসাভিকে ফোনে কথা বলতে শুনেছিলেন যে শাহরুখপুত্রের জামিনের জন্য ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা চলছে। এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে কিরণ গোসাভি দাবি করলেন যে, প্রভাকর সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে।
উল্লেখ্য, কিরণ গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, গোপনে তিনি প্রভাকরের ফোনে কথাবার্তা শুনেছেন। কিরণ গোসাভির পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানি(Pooja Dadlani)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাঁর কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা। শেষ অবধি ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই দেওয়া হত এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে, যিনি গোটা তদন্তটি পরিচালন করছেন। ওই টাকা দিলেই আরিয়ান খানকে মাদক মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হত।
ওই দেহরক্ষীর দাবি, সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) সহ এনসিবি আধিকারিকরা ৩ অক্টোবরই ভোরবেলায় তাঁকে দিতে ৯-১০ পাতা সাদা কাগজে সাক্ষর করিয়ে নিয়েছিলেন এবং আধার কার্ডের জেরক্সও জমা নেন। ওই কাগজে সই করার পরই তিনি আরিয়ান খানকে দেখতে পান বলে দবি। সমীর ওয়াংখেড়ের তাঁকে মেরে ফেলতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নাগরালেকে তিনি এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন।
প্রভাকরের যাবতীয় অভিযোগের জবাবেই গোসাভি বলেন, “প্রভাকর নানা অভিযোগ করছেন যে বিভিন্ন জায়গা থেকে এত টাকা নেওয়া হয়েছে। আপনারা ওর মোবাইলের রেকর্ড পরীক্ষা করলেই বুঝতে পারবেন বিগত ৫ দিনে ও কত টাকার ঘুষের প্রস্তাব পেয়েছে।”
মাদককাণ্ডে এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে জাতিয়াতি মামলায় বুধবার রাতেই গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল লুকআউট নোটিসও। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি কেপিজে ড্রিমজ় সল্যিউশন নামক একটি সংস্থা চালাতেন কিরণ গোসাভি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের বিদেশে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়েই টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।