নয়া দিল্লি: বর্ষা বিদায় নিলেও জমা জলে দিল্লি(Delhi)-তে বাড়ছে ডেঙ্গু(Dengue)-র প্রকোপ। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানীতে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হাজার পার করেছে, এর মধ্যে বিগত এক সপ্তাহেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৩ জন।
কেবল আক্রান্তই নয়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যাও। চলতি মরশুমেই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু জ্বরে, এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (South Delhi Municipal Corporation)। এরমধ্যে একজন মহিলা দিল্লির বাসিন্দা হলেও, বাকিরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু কর্পোরেশনে কেবল দিল্লির বাসিন্দাদেরই মৃত্যুর নথি দাখিল করা হয়, সেই হিসাবে রাজ্যে এখনও অবধি ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সফদরজং হাসপাতাল ছাড়াও দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালেও এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই দিল্লির হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্য়া বাড়তে শুরু করেছে। একাধিক হাসপাতালে ইতিমধ্যেই শয্যা সঙ্কচও দেখা দিয়েছে। দিল্লির এইমস, রাম মনোহর লোহিয়া, লোক নায়কের মতো বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফেও জানানো হয়েছে, নিত্যদিনই জ্বর নিয়ে আসছেন রোগীরা। তাদের মধ্যে কিছুজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে, বাকিদের অধিকাংশই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত।
এইমসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বর্তমানে ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন, এদের মধ্যে অধিকাংশেরই গুরুতর উপসর্গ রয়েছে। লোক নায়ক হাসপাতালেও বর্তমানে ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। বুধবারই ১৯০ জন রোগী আউটডোর বিভাগে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকায় ডেঙ্গু ওয়ার্ড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। নতুন করে যে সমস্ত রোগীরা আসছেন, তাদের ফ্লু ও অন্যান্য যে সমস্ত ওয়ার্ডে বেড ফাঁকা রয়েছে, সেখানে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
আরএমএল, সফদরজং, ম্যাক্স, ফর্টিস ও অ্যাপোলো হাসপাতালেও ডেঙ্গু ওয়ার্ড প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সবকটি হাসপাতালেই শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, কয়েকটি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে রোগীমৃত্যুর দাবিও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্থানীয় পুরসভার কাছে সেই রিপোর্টগুলি পাঠানো হয়েছে। যদি ডেঙ্গুতেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়, তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।