মুম্বই: করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতেই মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। তার ফলও ফল মিলছে হাতেনাতে। ধীরে ধীরে কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৮৮ জন। যা বিগত তিন সপ্তাহে সর্বনিম্ন সংক্রমণ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলায় প্রথমে নৈশ কার্ফু ও পরবর্তী সময়ে ১৫ দিনের জন্য কার্ফু জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এরপরই চলতি সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। বুধবার মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬৮৪। বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪১০-এ। শুক্রবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২২১ থাকলেও শনিবার তা এক ধাক্কায় কমে ৫ হাজার ৮৮৮ -তে কমে দাঁড়ায়। ৩১ মার্চের পর এটিই সর্বনিম্ন আক্রান্তের সংখ্যা।
তবে মৃতের সংখ্যায় খুব একটা বদল আসেনি। বিগত তিনদিন ধরে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৭০ থেকে ৭৫-র ঘরেই ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বাণিজ্য নগরীতে প্রায় ৪০ হাজার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুক্রবারও ৪২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল কেবল মুম্বই শহরেই। আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই হ্রাস পেয়েছে পজেটিভিটি হারও। গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের পজেটিভিটি রেট ছিল ১৮ শতাংশ। এ দিন তা কমে ১৫ শতাংশে হারায়।
দিল্লির অক্সিজেন সমস্যা দেখেও আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে মুম্বই। আজ বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানা হয়, তারা ১৬টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে, যার সাহায্যে শহরের ১২টি হাসপাতালে প্রতিদিন ৪৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌছে দেবে। ৯০ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই প্রকল্প আগামী এক মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানানো হয়।
মহারাষ্ট্রের সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পুণে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নাগপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার, নাসিকে ৪ হাজার ৮০০।
আরও পড়ুন: ‘মোদীকে দোষ দিয়ে লাভ কি?’ অক্সিজেন সঙ্কটের জন্য কেজরীবালকেই ‘দোষী’ বানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা