Bullet train: ২০২৩-এর শেষেই সমুদ্রের নীচ দিয়ে ৩১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন

Mumbai to Ahmedabad bullet train: জলের নীচ দিয়ে চলবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন।

Bullet train: ২০২৩-এর শেষেই সমুদ্রের নীচ দিয়ে ৩১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন
বুলেট ট্রেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2023 | 11:31 PM

মুম্বই: দিন কয়েক আগেই কলকাতায় গঙ্গার নীচ দিয়ে প্রথম যাত্রা করেছে মেট্রোরেল। এবার জলের নীচ দিয়ে চলবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনও। মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে মোট ২১ কিলোমিটার পথ জলের নীচ দিয়ে যাবে এই দ্রুতগতির ট্রেনটি। এর মধ্যে ৭ কিলোমিটার পথ থাকবে সমুদ্রের নীচে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের শেষেই এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। জাপানি শিনকানসেন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প। এর মোট খরচ প্রায় ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। মুম্বই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে তিনটি স্টপেজ থাকবে – একটি মহারাষ্ট্রে এবং দুটি গুজরাটে। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ জলের নীচ দিয়ে যাওয়া সুড়ঙ্গে সিঙ্গল-টিউব টুইন-ট্র্যাক কাঠামো থাকবে। সুড়ঙ্গটির ব্যাস হবে ১৩.১ মিটার, গভীরতা মাটির নীচে ২৫ থেকে ৪০ মিটার।

হাই-স্পিড বুলেট ট্রেনটি মাত্র তিন ঘণ্টায় মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছে যাবে। ভুজ এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে এই পথ যেতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টা দশ মিনিট। মহারাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মুম্বই শহরক যোগ করে থানে খাড়ি। পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, প্রস্তাবিত আন্ডারওয়াটার টানেলটি যাবে থানে ক্রিকের নীচ দিয়ে। স্ট্যাটিক রিফ্র্যাকশন কৌশল ব্যবহার করে খাড়ির নীচে সমীক্ষার কাজ করা হয়েছে। এনএইচএসআরসিএল-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শিলফাটার কাছে পারসিক পাহাড়ের ১১৪ মিটার নীচ দিয়ে গিয়েছে সুড়ঙ্গটি। এটিই এই নির্মাণ প্রকল্পের সবথেকে গভীর অংশ।

ট্রেনগুলি জাপান থেকে আমদানি করা হবে। ৭০০০ কোটি টাকা খরচ করে জাপান থেকে ১৮টি শিনকানসেন ই৫ সিরিজের ট্রেন আনা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনে থাকছে ১০টি করে কামরা। প্রতি ঘণ্টায় ৩১৫ কিলোমিটার গতিতে চলার ক্ষমতা রয়েছে ট্রেনগুলির। সম্প্রতি, মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অংশ হিসাবে এই ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল নির্মাণের জন্য দুটি প্রযুক্তিগতভাবে যোগ্য আর্থিক দরপত্র জমা পড়েছে। ৭ এপ্রিল জাতীয় হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড জানিয়েছিল এর মধ্যে কম অর্থ চাইছে আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (Afcons Infrastructure Limited)।