Congress Angkita Dutta: কংগ্রেসে ফের কেলেঙ্কারি, যুব সভাপতির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ অসমের যুব নেত্রীর

Congress Angkita Dutta: কংগ্রেস যুব শাখার জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে তাঁকে হেনস্থা করা এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মহিলা হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ করলেন অসমের যুব কংগ্রেস প্রধান ডা. অঙ্কিতা দত্ত।

Congress Angkita Dutta: কংগ্রেসে ফের কেলেঙ্কারি, যুব সভাপতির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ অসমের যুব নেত্রীর
যুব শাখার জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ অসমের যুব কংগ্রেসের প্রধান ডা. অঙ্কিতা দত্তের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2023 | 10:07 PM

গুয়াহাটি: কংগ্রেসে নতুন কেলেঙ্কারি। দলের যুব শাখার জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে তাঁকে হেনস্থা করা এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মহিলা হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ করলেন অসমে যুব কংগ্রেসের প্রধান ডা. অঙ্কিতা দত্ত। তাঁর আরও দাবি, পুরো বিষয়টি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বে জানিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। তিনি বলেছেন, “আমি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে জম্মু গিয়েছিলাম। তখন ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধীকে শ্রীনিবাস বিভির অপকর্মের কথা জানিয়েছিলাম। আমি আশা করেছিলাম আমার নেতৃত্ব মহিলাদের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু, হাইকমান্ডের নিষ্ক্রিয়তায় আমি হতবাক।” অঙ্কিতা দত্তের আরও দাবি, ভারতীয় যুব কংগ্রেসের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রীনিবাসের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন। আর তারপর থেকেই তাঁর হয়রানি শুরু হয়েছিল।

এমনকি, তাঁকে প্রকাশ্যে মদ্যপ বলেও অপমান করেন শ্রীনিবাস বিভি, এমনই দাবি অঙ্কিতার। এদিন শীর্ষ নেতৃত্বকে ট্যাগ করে, তিনি বেশ কয়েকটি টুইটে তিনি তাঁর অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার অভিযোগ সত্ত্বেও, শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এটাই কি মহিলাদের নিয়ে কথা বলার নিরাপদ জায়গা?” প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ‘লড়কি হুঁ, লড় সাকতি হুঁ’ স্লোগানের কী হল? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “আমি কয়েক মাস ধরে চুপচাপ বসে আছি। কিন্তু, তার (শ্রীনিবাস বিভি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেউ আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। শ্রীনিবাস জনসংযোগের ছদ্মবেশে সমস্ত ধরণের ভুল কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন।”

রাহুল গান্ধীর উপর তাঁর একসময় আস্থা ছিল বলেও জানিয়েছেন অঙ্কিতা দত্ত। তাই প্রথমে দলের মধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দলের স্বার্থে দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু, সেই আস্থা এখন ভেঙে গিয়েছে। জম্মুতে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় এই তথ্য তিনি রাহুলকে জানিয়েছিলেন। এপ্রিল মাস চলে এলেও এখনও পর্যন্ত শ্রীনিবাস বিভির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি লিখেছেন, “আমার মূল্যবোধ এবং শিক্ষা আমাকে আর সহ্য করতে দিচ্ছে না। অনেকবার রাহুল গান্ধী, কেসি বেনুগোপাল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের সামনে বিষয়টি আনা সত্ত্বেও নেতৃত্ব বধির হয়ে রয়েছে।”

যৌন হেনস্থা অভিযোগ ওঠায় যুব কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি কেশব কুমারকে সরে যেতে হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অঙ্কিতা। টুইটে তিনি লিখেছেন, “যখন পূর্ববর্তী ভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি কেশব কুমার যৌন হেনস্থা করেছিলেন এবং মিটু আন্দোলনের কারণে তা প্রকাশ্যে এসেছিল, তিনি সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু, এখন ৬ মাস ধরে শ্রীনিবাস বিভি আমাকে মানসিকভাবে হয়রানি ও বৈষম্য করা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি।” তাঁর আরও অভিযোগ বড় বড় নেতাদের আশীর্বাদেই শ্রীনিবাস এই জায়গায় পৌঁছেছেন। অঙ্কিতা টুইট করেছেন, “তিনি (শ্রীনিবাস) মনে করেন যে তিনি এত শক্তিশালী এবং বড় বড় নেতাদের আশীর্বাদ পেয়েছেন যে তিনি সংগঠনের একজন মহিলা নেত্রীকে হয়রানি এবং অবজ্ঞা করতে পারেন।” রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তিনি প্রশ্ন করেছেন, “আমি একজন মহিলা নেত্রী। যদি আমিই এমন হয়রানির শিকার হই, তাহলে আমি কীভাবে অন্য মহিলাদের কংগ্রেসে যোগ দিতে উত্সাহিত করব?”

এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি শ্রীনিবাস বিভি। তবে, এই বিষয়ে যুব কংগ্রেসের লিগাল সেলের একটি টুইট তিনি রিপোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে বলা হয়েছে: “ডা. দত্ত (১৮ এপ্রিল) ভারতীয় যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাস বিভিজি-র বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে অসংসদীয়, অসম্মানজনক, মানহানিকর, বিদ্বেষপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ফালতু অভিযোগ তুলেছেন। যুব কংগ্রেসের লিগাল সেল এই বিষয়ে দৃঢ় আইনি পদক্ষেপ শুরু করছে।”