মুম্বই: নাম নিয়ে আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছিল করাচি বেকারি (Karachi bakery)। এবার বন্ধ হল মুম্বইয়ের দোকানের ঝাঁপিও। চলতি সপ্তাহেই রাজ ঠাকরের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (Maharashtra Navnirman Sena) টুইট করে দোকান বন্ধের বিষয়টি তুলে ধরে এবং সেই কৃতিত্বও নেয়।
ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত দোকান করাচি বেকারি। রামনানি নামক সিন্ধি হিন্দু পরিবার স্বাধীনতার আগেই পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন। ১৯৫৩ সালে হায়দরাবাদে (Hyderabad) খোলা হয় করাচি বেকারি। বিপুল জনপ্রিয়তায় দেশজুড়ে একাধিক শহরেও এই বেকারির শাখা খোলা হয়। তবে বিতর্ক শুরু হয় মুম্বইয়ের বান্দ্রা(Bandra)-র দোকানটি ঘিরে।
গতবছরের নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সভাপতি হাজি সইফ শেখ (Haji Saif Shaikh) দোকানের মালিক রামনানির নামে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। তিনি জানান, করাচি বেকারি দোকানটির নাম আদতে পাকিস্তানি শহরের উপর ভিত্তি করে রাখায় তা সাধারণ ভারতীয় মানুষ ও সেনাবাহিনীর মনোভাবে আঘাত করেছে। অবিলম্বে দোকানের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুন:‘বাংলায় প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে, ঝুলিতে ২০০ আসন’
বেকারির মালিক নাম বদলে অস্বীকার করলে দোকান বন্ধ করার দাবিতে সরব হয় এমএনএস(MNS)-র কর্মীরা। নাম বদলানোর দাবিকে সমর্থন জানান শিবসেনা(Shiv sena)-র নেতা নীতিন নন্দগাওকর। যদিও অপর নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, এটি তাঁর নিজস্ব মতামত, দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
নবনির্মাণ সেনার তরফে নামবদলের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দোকানের মালিক একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে আপলোড করেন এবং সেখানে জানান, ঐতিহ্যবাহী এই দোকান এতটাই জনপ্রিয় যে এর নামবদল সম্ভব নয়।
এরপরই গতসপ্তাহ থেকে লাগাতার প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয় দোকানটির সামনে। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় করাচি বেকারির মুম্বই শাখা। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাজি এমএনএস নেতা সইফ শেখ দোকান বন্ধের সেই ছবি পোস্ট করে লেখেন, “করাচি নাম কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রতিবাদের পর অবশেষে মুম্বইয়ের দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হল।”
After massive protest on Karachi Bakery for its name #Karachi led by Vice President of MNS – @mnshajisaif karachi bakery finally closes its only shop in Mumbai.@RajThackeray Saheb@mnsadhikrut @karachi_bakery pic.twitter.com/67KQ0p30mI
— Haji Saif Shaikh (@mnshajisaif) March 1, 2021
আরও পড়ুন: ‘পর্নোগ্রাফিও দেখানো হয়’, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর কড়া নজরদারির কথা বলল শীর্ষ আদালত