বেঙ্গালুরু: হিজাব বিতর্কে (Hijab Controversy) এবার নয়া মোড়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, তা আদালত অবধি পৌঁছেছে। সম্প্রতিই কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) তরফে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া অবধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় ধর্মীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশ বাতিল করে দিল মহিশূরের (Mysore) একটি বেসরকারি কলেজ। জানা গিয়েছে, কলেজের পড়ুয়াদের হিজাব পরে আসার জন্য়ই হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে অমান্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কলেজ। পড়ুয়ারা যাতে ক্লাসে যোগ দিতে পারে, তার জন্য ইউনিফর্মের নিয়ম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে পড়ুয়ারা হিজাব বা অন্য় কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসতে পারবে বলেই জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলেজের চারজন পড়ুয়া হিজাব পরে আসতে, তাদের কলেজে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। শেষ অবধি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পড়ুয়াদের শিক্ষার কথা ভেবেই শেষ অবধি ইউনিফর্মের নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পড়ুয়াদের ইচ্ছামতো পোশাক পরার অনুমতিও দেওয়া হয় না।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিশূরের ডিডিপিইউ ডিকে শ্রীনিবাস মূর্তি বলেন, “হিজাব ছাড়া ক্লাসে ঢোকার নিয়ম চালু করার পরই চারজন পড়ুয়া ক্লাস করতে অস্বীকার করেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিল। তাই আজ আমি কলেজে যাই এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলি। এরইমধ্যে, কলেজের তরফে জানানো হয় যে তারা ইউনিফর্মের নিয়ম বাতিল করছে পড়ুয়ারা ক্লাসে যোগ দেয়।”
অন্যদিকে, শুক্রবার তুমাকুরুর এমপ্রেস কলেজের অধ্যক্ষ কলেজেরই ১৫ থেকে ২০ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টের রায় অমান্য করার অভিযোগ দায়ের করেন। নন্দগড় কলেজেও হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বেশ কয়েকজন পড়ুয়া গেরুয়া শাল পরে আসে। তাদেরও কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
কর্নাটকের শিবমোগা জেলার একটি প্রি-ইউনিভার্সিটির কমপক্ষে ৫৮ জন ছাত্রীকেও শনিবার সাসপেন্ড করা হয়েছে হিজাব পরা ও কলেজের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। বিতর্কের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।