নয়া দিল্লি: আগামী বছরই পাঁচ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই আচমকা বদল হলেন একাধিক রাজ্যপাল (Governors)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় চার রাজ্যে রাজ্যপাল বদলের কথা জানানো হয়েছে।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্জাবের নতুন রাজ্য়পাল হবেন বানওয়ারিলাল পুরোহিত (Banwarilal Purohit)। এতদিন তিনি তামিলনাড়ুর রাজ্য়পালের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে, নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আর এন রবি(R N Ravi) এ বার থেকে তামিলনাড়ুর দায়িত্ব সামলাবেন। উত্তরাখণ্ডেও বদল হচ্ছে রাজ্যপাল। অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং (Lt Gen Gurmit Singh) উত্তরাখণ্ডের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন। অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি (Jagdish Mukhi) নাগাল্যান্ডেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) জানিয়েছেন, যেদিন থেকে তারা নতুন রাজ্য়ের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, সে দিন থেকেই তাদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। যদিও রাজ্য়পাল রদবদলের কোনও কারণ জানানো হয়নি।
নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আর এন রবিকে তামিলনাড়ুর দায়িত্বভার দেওয়ায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া অবধি তাঁর জায়গায় রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলাবেন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি। তিনি অসমের পাশাপাশি প্রতিবেশী নাগাল্যান্ডের দায়িত্বও সামলাবেন আপাতত।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন বেবি রানি মৌর্য্য। তিনি ২০১৮ সাল থেকে উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর ইস্তফা দেওয়ায় সেই শূন্য স্থানে নিয়োগ করা হচ্ছে অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিংকে।
সূত্রের খবর, আগামী বছর উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে আগ্রা থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন বেবি রানি মৌর্য্য। তিনি এর আগেও আগ্রার মেয়র ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে অতমাদপুর আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন, কিন্তু সেই নির্বাচনে হারের পর থেকেই রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে দাঁড়ান তিনি।
বেবি রানির জায়গায় দায়িত্ব নিচ্ছেন সেনা অফিসার গুরমিত সিং। চার দশক ধরে কাজ করার পর তিনি ২০১৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। সেনাবাহিনীতে কাজ করার সময় তিনি সেনা বাহিনীর ডেপুটি চিফ, ১৫ স্ট্রাটেজিক কর্পস, যারা কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন,তার কম্যান্ডার ও অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের দায়িত্বও পাল করেছেন। ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবে সামরিক নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি চিনের সঙ্গে সামরিক ইস্যুগুলির উপর নজরদারি ও যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ করতেন।