শিলং: আগামী বছরই মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যেকে এবার পাখির চোখ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী শক্তি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে এই শক্তি ভোটে না লড়েই। তাই এবার ভোটের ময়দানেও নিজেদের পরখ করে নিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আগামী বছর ভোটে লড়বে তারা। সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। আগামী ৩ মে ও ৪ মে মেঘালয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সে রাজ্যে ব্লক কমিটি তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ সদস্যর এই ব্লক কমিটিতে সভাপতি জিতেন খোংওয়েন।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই জিতেন জানিয়েছিলেন, “মেঘালয়ে তৃণমূল শুধু বিরোধী শক্তিই নয়, তৃণমূল সেই দল যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। তৃণমূলের হাত ধরেই এ রাজ্যে নতুন আশার আলো দেখবেন মানুষ।” ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জন যোগ দেন তৃণমূলে। এর ফলেই মেঘালয়ে প্রধান বিরোধীর আসনে বসে তৃণমূল।
বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ের পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এবার তাঁর লক্ষ্য দিল্লি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ছোট ছোট রাজ্যগুলির দিকে বাড়তি নজর দেয় তৃণমূল। শুরুটা হয়েছিল ত্রিপুরা দিয়ে। এরপর গোয়া। ত্রিপুরায় স্থানীয় ভোটে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। গোয়া বিধানসভা ভোটেও লড়াই করে তারা। এবার মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই আগামী মাসের শুরুতে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Vandalism at Polba: বাড়িতে টিভি দেখতে পারছিলেন না, তা বলে কেবল অপারেটরের উপর এমন ‘প্রতিশোধ’…