সিধুর টুইটবাণে নেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের নাম! সনিয়ার ‘বিশেষ বার্তা’ই কি গলিয়ে দিল বরফ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 11, 2021 | 7:32 AM

গত সপ্তাহেই একাধিক টুইটে নভজ্যোত সিং সিধু মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তবে পঞ্জাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হত না, মুখ্য়মন্ত্রীকেও অফিসের সময় বা এসি চালানো নিয়ে নির্দেশিকা দিতে হত না।"

সিধুর টুইটবাণে নেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের নাম! সনিয়ার বিশেষ বার্তাই কি গলিয়ে দিল বরফ?
ফাইল চিত্র।

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: অবশেষে নির্বাচনের আগেই কি গলল বরফ? অমরিন্দর-নভজ্যোতের মন কষাকষি কি থামাতে পারলেন সনিয়া গান্ধী? নভজ্যোত সিং সিধুর একটি টুইটেই উঠে আসছে এইধরনের একাধিক প্রশ্ন। পঞ্জাবে বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে যেখানে এক সপ্তাহ আগেও মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)-কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি সতীর্থ নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। কিন্তু শনিবারের টুইটে কোথাও উল্লেখ নেই চরম প্রতিদ্বন্দ্বীর।

শনিবারও বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে টুইট করলেও সেখানে কেবল শিরোমণি আকালি দল ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকেই আক্রমণ করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। এ দিন তিনি টুইটে লেখেন, “আজ পঞ্জাবের ক্ষয়ক্ষতি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, প্রথমত দিল্লি সরকার পঞ্জাবের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলিকে এই পরিস্থিতিতে বন্ধ করিয়ে দিতে চায়, যারফলে এই গরমেও সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে এবং কৃষকরা সমস্যায় পড়েন। অন্যদিকে শিরোমণি আকালি দলও বেশি দামে ওই পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছিল।”

সিধু কেজরীবাল ও শিরোমণি আকালি দলকে আক্রমণ করলেও নিজের টুইট বাণে একবারের জন্যও উল্লেখ করেননি মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের নাম। গত সপ্তাহেই পঞ্জাবের বিদ্যুৎ সঙ্কট যখন চরমে ওঠে, তখন একাধিক টুইটে অমরিন্দর সিংকেও আক্রমণ করেছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। তিনি বলেছিলেন, “যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তবে পঞ্জাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হত না, মুখ্য়মন্ত্রীকেও অফিসের সময় বা এসি চালানো নিয়ে নির্দেশিকা দিতে হত না।”

পাল্টা আক্রমণে অমরিন্দর সিংও জানান, নভজ্যোত সিং সিধু নিজেই ৮ লাখ টাকার বিদ্যুতের বিল জমা দেননি। দলের মধ্যে ঝামেলা বাড়তেই তড়িঘড়ি ফের দিল্লি যান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন এবং বৈঠক শেষে জানান, দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই-ই তিনি মেনে নেবেন।

আগামী বছর নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে গোষ্ঠী কেন্দল মেটাতে পারলে আখেরে লাভ কংগ্রেসেরই হবে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। আরও পড়ুন: প্রার্থীদের ‘অপহরণে’ সাহায্য করছেন আইএএস অফিসার, রেকর্ড করতেই বেধড়ক মার সাংবাদিককে 

Next Article