Mumbai: দেড় বছরে প্রথমবার মৃত্যুহীন মায়ানগরী, করোনার বিষ-নিঃশ্বাস থেকে সাময়িক স্বস্তি মুম্বইয়ে

COVID 19 situation in Mumbai: করোনার একেবারে শুরুর সময় থেকেই সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। যার মধ্যে সবথেকে বেশি নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে।

Mumbai: দেড় বছরে প্রথমবার মৃত্যুহীন মায়ানগরী, করোনার বিষ-নিঃশ্বাস থেকে সাময়িক স্বস্তি মুম্বইয়ে
কেরলে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তও। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 8:43 PM

মুম্বই : দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রথম। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি মুম্বই শহরে। গত বছর করোনা অতিমারির আকার নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম মৃত্যু শূন্য মায়ানগরী। করোনার একেবারে শুরুর সময় থেকেই সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। যার মধ্যে সবথেকে বেশি নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে। এই পরিস্থিতিতে আজকের এই মৃত্যুশূন্য় মুম্বই কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনকে।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৭ জন। কমেছে সংক্রমণের হারও। মুম্বইয়ের এখন সংক্রমণের হার ১.২৭ শতাংশ। বাণিজ্য নগরীতে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্য়া ৫ হাজারের কিছু বেশি এবং সুস্থতার হারও বেশ স্বস্তিদায়ক। মুম্বইয়ে এখন করোনামুক্তির হার ৯৭ শতাংশ।

মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের সরকারের। বিশেষ করে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যখন চারিদিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, তখন সেই ছবি আরও প্রকট হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় ঢেউ কেটে গেলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি মহারাষ্ট্রে। উৎসবের মরশুমে দেশের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য কেরলকে দোষারোপ করা হলেও মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু , কর্নাটকের মতো রাজ্য়েও করোনা সংক্রমণ বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে।

সংক্রমণের গত দুটি ঢেউয়ে সবথেকে বিপর্যস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্রই। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ অবধি পৌঁছতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকরের মুখেই সেই আশঙ্কা শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে , তাতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে গণেশ চতুর্থীর সময় কড়া পথে হেঁটেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বইয়ের অন্যতম বড় উৎসব এটি। অথচ গোটা শহরে একগুচ্ছ কড়াকড়ি। এক জায়গায় পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর অবধি ১৪৪ ধারাও জারি ছিল মায়ানগরীতে।

প্যান্ডেলে গেলে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বিখ্য়াত পুজো মণ্ডপগুলিতে অনলাইন দর্শনের আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনলাইনেই আরতি থেকে পুজোর সমগ্র বিধি বাড়িতে বসেই দেখেছেন মুম্বইবাসী। অনলাইনে পুজোও দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র যাদের করোনা টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তারা পুজো মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে পেরেছেন। মুম্বইয়ের গণেশ উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ বিসর্জন যাত্রা। গোটা শহর থেকে ছোট থেকে বড় সমস্ত গণেশ প্রতিমা নিয়েই সমুদ্র সৈকতের দিকে রওনা দেওয়া হয়। কিন্তু এই বছর সেসব কিছুই ছিল না।

আরও পড়ুন : UP Assembly elections: বিজেপির ১০০ বিধায়ক বিধানসভায় যোগীর বিরুদ্ধে ধর্ণা দেবে! কেন এমন বললেন অখিলেশ?