নয়া দিল্লি:
নয়া দিল্লি: যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা বা পকসোর আইনে, সম্পর্কের সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার কোনও প্রস্তাব সরকার বিবেচনা করছে না। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর), রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সাংসদ বিনয় বিশ্বম প্রশ্ন করেছিলেন, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সম্মতিমূলক সম্পর্ককে অপরাধ বলে গন্য করা আটকাতে সরকার কি এই রকম কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করছে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, “কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” স্মৃতি ইরানি আরও বলেছেন, “ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্ক আইন অনুসারে, ১৮ বছরকেই প্রাপ্তবয়স্ক বলে ধরা হয়। পকসো আইনে স্পষ্টভাবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে”।
সম্প্রতি ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় পকসো আইনের অধীনে সম্পর্কের সম্মতির বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সংসদকে সেই উদ্বেগগুলি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পকসো আইনে ধরে নেওয়া হয়, ১৮ বছরের কম বয়সীদের আইনত সম্মতি জানানোর অধিকার নেই। কিন্তু, বিচারপতি হিসাবে তিনি লক্ষ্য করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই এই আইনের ধারায় হওয়া মামলাগুলি বিচারকদের সামনে জটিল প্রশ্ন খাড়া করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও কিশোরী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে, এই আইনের ধারায় অভিযুক্তকে শাস্তি দিলে আখেরে ক্ষতি হয় তারই। অভিযুক্ত শাস্তি না পেলে, হয়তো তার পাশে দাঁড়িতে পারত।
তাই, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নির্ভরযোগ্য গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে, আইনসভাকে সম্পর্কের সম্মতি জনানোর বয়স বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মাদ্রাজ ও কর্ণাটকের হাইকোর্টও সম্পর্কের সম্মতির বয়স কমানোর সুপারিশ করেছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, অনেক ক্ষেত্রে পকসো আইনের আসল উদ্দেশ্যই পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টও পর্যবেক্ষণ করেছে, পকসো আইনের উদ্দেশ্য হল শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করা। তরুণ-তরুণীদের সম্মতিমূলক রোমান্টিক সম্পর্ককে অপরাধী করে তোলা নয়।