নয়া দিল্লি: সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে দেশের সব মানুষ যাতে জানতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে জেলায় জেলায় সরকারি আমলাদের পাঠাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের প্রতিটি জেলায় তাঁরা নাগরিকদের সামনে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি তুলে ধরবেন। কিন্তু, কেন্দ্রের এই পরিকল্পনায় বাধ সাধল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কমিশন জানিয়ে দিল, অন্যান্য রাজ্যে এই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ চলতে পারে। কিন্তু পরের মাসে যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই রাজ্যগুলিতে এই যাত্রা নিষিদ্ধ।
মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম এবং তেলঙ্গানা – এই পাঁচ রাজ্যে পরের মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন এদিন জানিয়েছে এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ‘মডেল কোড অব কন্ডাক্ট’ বা ‘আদর্শ আচরণ বিধি’ও ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যে কার্যকর হয়েছে। তাই সরকারি অফিসারদের নিয়ে এই যাত্রা ওই পাঁচ রাজ্যে করা যাবে না। কমিশন তার নির্দেশে জানিয়েছে, চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের যে যে নির্বাচনী এলাকায় আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ থাকছে, সেই জায়গাগুলিতে এই সরকারি কার্যক্রম করা উচিত নয়।
‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় একজন করে ‘জেলা রথ প্রভারি’ বা বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ করা হবে। যুগ্ম সচিব, ডিরেক্টর, উপসচিব স্তরের আধিকারিকদের এই পদে নিয়োগ করা হবে। এর জন্য সরকার ইতিমধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলা থেকে পদস্থ আধিকারিকদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে।
তবে, সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বিষয়ে আপত্তি জানান। মোদী সরকারের আমলে, সমস্ত সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, শাখা এবং বিভাগগুলি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির প্রচারকে পরিণত হল বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে, তাঁকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি বিজেপি নাড্ডা। নাড্ডা বলেছেন, জনগণকে পরিষেবা দেওয়াটাই সরকারের কাজ। কংগ্রেস সেটা মনে না করলেও এটাই সত্যি। সরকারের এই উদ্যোগে কংগ্রেস আপত্তি জানাচ্ছে দেখে তিনি বিস্মিত।