Noida Police Case: করোনার সময় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল! দুই নাবালিকাকে উদ্ধারের পর, পুলিশ যা জানাল, বিশ্বাস হবে না

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jun 07, 2022 | 9:37 AM

Jharkhand police: পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই নাবালিকার বাবা ২০১৪ সালে মারা গিয়েছিল। তাদের মা দিল্লিকে কাজ করেন। তাদের এক বড় দাদা এবং বোন রয়েছে, তাঁরাও ঝাড়খণ্ডে থাকে।

Noida Police Case: করোনার সময় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল! দুই নাবালিকাকে উদ্ধারের পর, পুলিশ যা জানাল, বিশ্বাস হবে না
ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

নয়ডা: পরিচারিকা হিসেবে কর্মরত দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে নয়ডা পুলিশ। ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধারের পর নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে, করোনার সময় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই দুই নাবালিকা ঝাড়খণ্ডের গুলমা জেলার বাসিন্দা এবং তাদের বয়স যথাক্রমে ১২ এবং ১৩ বছর। নয়ডা পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় থানায় তাদের পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় থানার পুলিশ তাদের কোনও খোঁজ পায়নি। নয়ডা পুলিশের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “বসন্ত নামে এক ব্যক্তি ওই দুই নাবালিকা বোনকে নয়ডাতে নিয়ে এসেছিলেন। তাদের মায়ের থেকে অনুমতি নিয়ে তাদের নয়ডাতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বড় মেয়েটিকে ২০২১ সালের অগস্ট মাসে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ছোট মেয়েটিকে এখানে নিয়ে আসা হয়। নয়ডার ২৭ নম্বর সেক্টরে এক বিবাহিত দম্পতির বাড়িতে ওই দুই নাবালিকা কাজ করত। আমাদের কাছে খবর ছিল তাদেরকে জোর করে বাড়ির কাজ করানো হচ্ছিল। সেই কারণে পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।”

নয়ডা থানার পুলিশ আধিকারিক বিনোদ পানওয়ার জানিয়েছেন, ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধারের সময় তারা ওই দম্পতির বিরুদ্ধে কোনও রকমের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় নাবালিকাটিকে মাসে ৮ হাজার এবং ছোট মেয়েটিকে বছরে ৭ হাজার টাকা মাসিক বেতন হলেও সামান্য কিছু টাকা ওই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত এবং বেশিরভাগ টাকা ওই দম্পতির কাছেই থাকত। ছুটিতে বাড়ি আসার কথা বললেও ওই দম্পতি তাদের বাড়িতে আসার অনুমতি দেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই নাবালিকার বাবা ২০১৪ সালে মারা গিয়েছিল। তাদের মা দিল্লিকে কাজ করেন। তাদের এক বড় দাদা এবং বোন রয়েছে, তাঁরাও ঝাড়খণ্ডে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে তারা জানতে পেরেছে তাদের ঝাড়খণ্ডের থানায় তাদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিক্রি করে দেওয়ার সময়, তাঁরা স্কুলে পড়াশুনো করত, কিন্তু করোনা মহামারির সময়ে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই দুই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে পুলিশ।

Next Article