মাংস কিনতে নয়া নিয়ম, এ বার বিশেষ তথ্য জানাবে দোকান

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 31, 2021 | 3:33 PM

উত্তর দিল্লি পুরসভার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রতিটি দোকান, রেস্তরাঁ ও ধাবায় কী পদ্ধতিতে মাংস কাটা হচ্ছে, তা জানাতে হবে গ্রাহকদের।

মাংস কিনতে নয়া নিয়ম, এ বার বিশেষ তথ্য জানাবে দোকান
ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: মাংস কোন পদ্ধতিতে কাটা হচ্ছে, তা জানাতে হবে গ্রাহককে। অর্থাৎ হালাল নাকি ঝটকা পদ্ধতিতে প্রাণীটিকে কাটা হয়েছে, তা গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশ দিল উত্তর দিল্লি পুরসভা (North Delhi Municipal Corporation)। এর আগে পূর্ব ও দক্ষিণ দিল্লিতেও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এ বার তালিকায় নতুন সংযোজন হল উত্তর দিল্লিও।

মাংস কাটার পদ্ধতি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি গড়িয়েছিল জল। সেই সময় শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, হালাল নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মাংস কাটার পদ্ধতিও ভিন্ন হয়, সেক্ষেত্রে এটিকে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না।

তবে সম্প্রতি পূর্ব ও দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল যে কোন পদ্ধতিতে মাংস কাটা হচ্ছে, তা ক্রেতাদের জানাতে হবে। এ বার একই নির্দেশিকা জারি করল উত্তর দিল্লি পুরসভা। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসফভার অন্তর্গত ছয়টি জ়োনের সমস্ত দোকান, রেস্তরাঁ, ধাবা ও মাংসের দোকানগুলিতে মাংস কোন পদ্ধতিতে মাংস কাটা হচ্ছে, তা গ্রাহকদের জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: লকডাউন রুখতে অন্য পন্থা, বাজারে ঢুকতে হলেই কাটতে হবে ৫ টাকার টিকিট

গতকাল উত্তর দিল্লি পৌরসভায় সর্বসম্মতিতে এই প্রস্তাব পাশ হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, মাংস ঝাটকা না হালাল পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে, তা দোকানের বাইরে লিখে রাখতে হবে। এতে গ্রাহকদের সুবিধা হবে।

বহু গ্রাহকই হালাল পদ্ধতিতে কাটা মাংস খেতে চান না। একাংশের মতে, মুসলিমদের মাংস কাটার এই পদ্ধতি অত্যন্ত নির্মম। ঝটকা পদ্ধতিতে এক কোপেই পশুর প্রাণ নেওয়া হয়। কিন্তু হালাল পদ্ধতিতে আড়াই প্যাঁচে হত্যা করা হয়। এই পদ্ধতিতে পশুদের অত্যন্ত যন্ত্রণা পেয়ে মরতে হয়।

যদিও ২০২০ সালে হালাল পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জনগণের খাদ্যাভাস নিয়ে আদালত কোনও মন্তব্য বা পদক্ষেপ করতে পারে না। যাঁরা হালাল করা মাংস খেতে চান, তাঁরা খেতেই পারেন।

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছেন শরদ পাওয়ার, সকালে পড়লেন সংবাদপত্রও

Next Article