মুম্বই: পুনে, মুম্বই, গোয়া, দেরাদুন, সুরাট, আহমেদাবাদ, সিলভাসা, নাগপুর, হায়দরাবাদ ইত্যাদি শহরের পর, এবার থানে মিউনিসিপ্যাল ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিং থেকে বৈদ্যুতিন বাস পরিচালনার আরও একটি বরাত পেল ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স’ গোষ্ঠীর দুই সংস্থা – ‘ওলেক্ট্রা গ্রিনটেক লিমিটেড’ (Olectra Greentech Limited) এবং ‘ইভে ট্রান্স প্রাইভেট লিমিটেড’ (EVEY Trans Pvt Ltd)। থানে মিউনিসিপ্যাল ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিং-এর পক্ষ থেকে ‘ইভে’ এবং ‘ওলেক্ট্রা’কে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা মূল্যের বিনিময়ে ১২৩টি বৈদ্যুতিন বাসের জন্য ‘লেটার অব অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের জন্য গ্রস কস্ট কন্ট্রাক্ট বা ওপেক্স মডেলের ভিত্তিতে বাসগুলি সরবরাহ করা হবে।
এই বাসগুলি ওলেক্ট্রার কাছ থেকে সংগ্রহ করবে ইভে। ৯ মাসের মধ্যে বাসগুলি সরবরাহ করার কথা রয়েছে। ১২৩টি ই-বাসের মধ্যে ৫৫টি হবে ১২-মিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে ৪৫টি হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বাকি ৬৮ টি ই-বাস হবে ৯ মিটার দীর্ঘ। এগুলির মধ্যে হল ২৬টি হবে শীতাতপ। ১২ মিটার দীর্ঘ বাসগুলি একবার চার্জ দিলে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। বাসে চালকের আসন নিয়ে মোট ৪০ জনের বসার জায়গা থাকবে। আর ৯ মিটার দীর্ঘ বাসগুলি একেকবারের চার্জে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। এই বাসগুলিতে চালকের আসন-সহ মোট ৩২টি আসন থাকবে। লিথিয়াম-আয়নের তৈরি ব্যাটারিগুলি মাত্র চার ঘণ্টাতেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে ওলেক্ট্রা।
চুক্তির মেয়াদে বাসগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে ওলেক্ট্রা গ্রীনটেকই। এই বিষয়ে ওলেক্ট্রা গ্রীনটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে ভি প্রদীপ বলেছেন, “মহারাষ্ট্র থেকে আরও একটি অর্ডার পেয়ে আমরা আনন্দিত। এর ফলে, আমাদের উপস্থিতি থানেতেও প্রসারিত হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুনে, মুম্বই এবং নাগপুর শহরে ইলেকট্রিক বাস চালাচ্ছি। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই, আমাদের ওলেক্ট্রা ই-বাসগুলি তিন কোটি কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছে। বাসগুলি রাজ্যের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়েছে। ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে এখন আমাদের ই-বাসগুলি চলছে। ইতিমধ্য়েই, ভারতীয় রাস্তায় ওলেক্ট্রা ই-বাসগুলি সাত কোটি কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিয়েছে।”
কী কী বৈশিষ্ট রয়েছে ওলেক্ট্রা গ্রীনটেক লিমিটেডের তৈরি এই বৈদ্যুতিন বাসগুলিতে? যাত্রীদের সুবিধার জন্য মাটি থেকে বাসের মেঝের উচ্চতা খুবই কম রাখা হয়। এছাড়া, বাসগুলিতে বৈদ্যুতিন এয়ার সাসপেনশন ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, বাসের খোলের মধ্যে, ভিতরের অংশটি ভাসমান অবস্থায় থাকে। ফলে, ঝাঁকুনি লাগে না, যাত্রা হয় আরামদায়ক। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বাসগুলিতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং প্রতিটি আসনে রয়েছে বিপদঘণ্টি। ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য প্রতিটি আসনে ইউএসবি সকেটও দেওয়া থাকে। বাসগুলির ব্রেকিং সিস্টেমও একেবারে অত্যাধুনিক। ব্রেক কষলে যে গতিশক্তি নষ্ট হয়, তা মুহূর্তেই ফিরে পায় বাসগুলি।