বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট, প্রভাব পড়ছে দেশেও। কেরল, অন্ধ্র প্রদেশ ও চণ্ডীগঢ়ে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮-এ। সংক্রমণ রুখতে কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। একাধিক রাজ্যেও জারি করা হচ্ছে নয়া নির্দেশিকা। এর মধ্যে ওমিক্রনের হানায় ব্রিটেনে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ব্যবহারই হল না। গত দু’ মাসে সেনেগালে অন্তত ২ লক্ষ করোনা টিকা স্রেফ পড়ে পড়ে নষ্ট হল! আরও ২ লক্ষ করোনা টিকার মেয়াদ ডিসেম্বরেই উর্ত্তীর্ণ হতে চলেছে। এর কারণ হিসাবে টিকার চাহিদার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। এদিকে ওমিক্রন আতঙ্কে সারা আফ্রিকা সরকার করোনা টিকার জন্য ধনী৪ দেশগুলির কাছে সাহায্য চাইছে। তখন এভাবে করোনা টিকা নষ্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।
ওমিক্রনের হানায় ব্রিটেনে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল সোমবার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ব্রিটিশ রাজধানীর প্রায় ৪০ শতাংশ করোনার কেসের ক্ষেত্রে দায়ী ওমিক্রন স্ট্রেইন। হাসপাতালগুলিতে এই স্ট্রেইনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।
ব্রিটেন প্রশাসনের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট “ভীষণ দ্রুত হারে” ছড়িয়ে পড়ছে এবং বর্তমানে লন্ডনে মোট সংক্রমণের প্রায় ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের বুস্টার শট নেওয়া উচিত।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে বড়সড় কিছু পরির্বতন বিগত তিনদিন ধরে লক্ষ্য করা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৫০ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৭৭৪ জন। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২০২ জন। একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৫। মোট ৯১ হাজার ৪৫৬ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৯৭৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: Corona Outbreak: স্বস্তি দিয়ে দেশে একদিনে আরও কমল মৃত্যুর সংখ্যা! তবে ৭ হাজারের আশেপাশেই সংক্রমণ
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের ৫৯ টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন ও ডেনমার্ক থেকে। এই পরিস্থিতিতেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টই করোনার তৃতীয় ঢেউ ডেকে আনবে।
দেশে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ওমিক্রনের থাবা। রবিবারই চণ্ডীগঢ় ও অন্ধ্র প্রদেশে দুই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। দুই রাজ্যে এটিই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণ। বিকেল গড়াতেই সেই তালিকায় নাম লেখাল কেরলও। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি মিলেছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ডেল্টার থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং টিকার কার্যকারিতা অনেকটা কমিয়ে দেয়। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে খুব একটা মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়নি।