জোর করে কোভিশিল্ড ডোজ়ের ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র? খোলসা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সুমন মহাপাত্র |

Jun 16, 2021 | 3:05 PM

কেন্দ্রের এই অবস্থানের সঙ্গে জাতীয় টিকাকরণের বিশেষজ্ঞ দলের বক্তব্যের সঙ্গে সংযোগ আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জোর করে কোভিশিল্ড ডোজ়ের ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র? খোলসা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: কোভিশিল্ডের (Covishield) ডোজ়ের ব্যবধান ২৮ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইট করে জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের ডোজ়ের ব্যবধান বৃদ্ধি একেবারে স্বচ্ছ ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতেই হয়েছে। তাঁর দাবি, এটা অনভিপ্রেত যে এই বৈজ্ঞানিক ইস্যু নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে।

কেন্দ্রের এই অবস্থানের সঙ্গে জাতীয় টিকাকরণের বিশেষজ্ঞ দলের বক্তব্যের সঙ্গে সংযোগ আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে জাতীয় টিকাকরণ বিশেষজ্ঞ দল স্রেফ ডোজ়ের ব্যবধান ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেখানে মন্তব্য রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমলজির প্রাক্তন ডিরেক্টর এমডি গুপ্তের। তিনি দাবি করেছেন, ১২ সপ্তাহ ব্যবধান বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশেষজ্ঞ দল মেনে নিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধান করেছে।

উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলেই কার্যকারিতা বেশি, এই ধরনের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতে আগেই নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক গবেষণার। ভারতের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই সেই গবেষণার পরই এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব।

তিনি বলেছিলেন, “ভ্যাকসিনের ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিটি সিদ্ধান্তই অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে নিতে হবে। দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর সময় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তবে অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষই কমপক্ষে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেশি থাকবে, সেই দিকটিও ভাবা উচিত। সমস্ত দিকগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”

আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও একটি টুইটে লিখেছেন, “কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়েও যদি সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন আনা হয়, তা এনটিএজিআই-র পরামর্শেই এক নীতি মেনেই হবে।”

আরও পড়ুন: দেশে মৃত্যু ০.০০০২ শতাংশ টিকা প্রাপকের, ‘ভয় নেই’ আশ্বাস কেন্দ্রের

Next Article