আমাদের দেশে পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ রেল। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে টিকিট কাটা যায় সঙ্গে সঙ্গে, কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ থাকে না। আগে থেকে টিকিট না কাটা থাকলে, সমস্যায় পড়তে হয়। তৎকাল টিকিট নামে একটি বিকল্প রয়েছে ঠিকই, তবে হঠাৎ কোথাও যাত্রা করার প্রয়োজন পড়লে সেটাও শেষ মুহূর্তে কাটা সম্ভব হয় না। এর ফলে বিপদে পড়লেও ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে পিছপা হন অনেকেই। তবে অনেকেরই জানা নেই, টিকিট না কেটেও রেলে যাত্রা করা সম্ভব। এমনই এক বিশেষ নিয়ম রয়েছে রেলের।
এই নিয়মে কোনও ব্যক্তি শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটেই ট্রেনে উঠতে করতে পারেন। যদি তেমন কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটে প্রথমে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট নিয়েই ট্রেনে উঠতে পারবেন তিনি। তারপর সেই টিকিট নিয়ে দেখা করতে হবে টিটিই-র সঙ্গে। তাঁকে একটা টিকিট বানিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি টিকিট বানানো না সম্ভব হয় তাহলে রেলের গার্ডের থেকে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে, যাতে ট্রেনে সফরের অনুমতি দেওয়া হবে, যাকে বলা হয়, সার্টিফিকেট অব পারমিশন টু ট্রাভেল।
ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই বিশেষ নিয়ম তৈরি করেছে, তবে এ ক্ষেত্রে টিটিই-র সঙ্গে যোগাযোগ করা অত্যন্ত জরুরি। তা যদি না করেন, তাহলে মাঝপথে সমস্যা হতে পারে, ট্রেন থেকে নেমেও যেতে হতে পারে যে কোনও স্টেশনে।
যদি যাত্রীর কাছে প্ল্যাটফর্ম টিকিট না থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে ট্রেন যেখান থেকে চলা শুরু করেছে, সেখান থেকেই সফর করছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে টিকিট না থাকার কারণে টিটিই ওই স্টেশনের হিসেব ধরে জরিমানা নিতে পারেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম টিকিট থাকলে সেটা বলে দেবে যে ওই যাত্রী ঠিক কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছেন। কেন টিকিট না কেটে যাত্রী ট্রেনে উঠেছেন, তা জানাতে হবে টিটিই-কে। তিনি যদি উত্তরটা যুক্তিযুক্ত মনে করেন তাহলে সিটের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। ভাড়া নিয়ে টিকিট করে দেওয়া হবে। কোন কামরায় ওই যাত্রী উঠেছেন, তার ওপর ভাড়া নির্ভর করবে। তবে কোনও উপযুক্ত কারণ ছাড়া এইভাবে সফর করতে দেবে না রেল।
আরও পড়ুন: Cooch Behar storm update: ২০ মিনিটের কালবৈশাখীতে ভাঙল কয়েক হাজার বাড়ি, মৃত বেড়ে ৩