বেঙ্গালুরু: দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই যত এগিয়ে আসছে, ততই কাছে আসছেন বিরোধীরা। সোমবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার আমন্ত্রণে বেঙ্গালুরুতে নৈশভোজে যোগ দিল ২৬টি দলের নেতা-নেত্রীরা। বিজেপি বিরোধী দলগুলির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। নৈশভোজের আসরে দেখা গেল কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদবরা। বৈঠকে যে বিরোধীদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, সে কথাই শোনা গেল নেতা-নেত্রীদের মুখে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, ‘মিটিং বহুত আচ্ছা রাহা (খুব ভাল বৈঠক হয়েছে)।’
শুধু মমতা নন, বিরোধী ঐক্য যে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে, সে কথা উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। বৈঠক শেষে টুইটে তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক ন্যয়, সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন আর দেশের উন্নতির স্বার্থে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলি একজোট হয়ে কাজ করবে। সংবিধান মেনে যাতে দেশ চালানো হয়, তার পক্ষেই বিরোধী জোটের এই লড়াই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, এম কে স্টালিন, অরবিন্দ কেজরীবাল, নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় প্রমুখ। বৈঠকের শুরুটা যে খুব ভাল হয়েছে, সে কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা বিকে হরিপ্রসাদ।
এদিকে, এদিনে বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য উল্লেখ করেছেন, দিল্লি যখন জলে ভাসছে, তখন বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল আর পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু যাচ্ছে। তবে সোমবারেই শেষ নয়, মঙ্গলবারও বৈঠকে বসবেন বিরোধীরা।
এদিন পাঁচতারা হোটেলে বিরোধীদের জন্য ছিল বিপুল আয়োজন। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব বিখ্যাত খাবার জায়গা করে নিয়েছিল তালিকায়। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মিষ্টিও পরিবেশন করা হয় বিরোধী দলের নেতাদের।