Covid in Maharashtra: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনা গ্রাসে মহারাষ্ট্র প্রশাসন, ১০ মন্ত্রী, ২০ বিধায়ক আক্রান্ত
Corona: উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণে ভুগছে গোটা বিশ্ব। কখনও বেড়েছে। কখনও কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই দু’বছরে করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বেরিয়েছে। যাতে আক্রান্ত হয়েছেন বহুজন। এদিকে, আতঙ্ক ধরাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
মুম্বই: মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। তারমধ্যেই রয়েছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। মহারাষ্ট্রে করোনার পাশাপাশি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়লে, ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদেরও উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা থাকে। সেদিকেও মহারাষ্ট্র প্রশাসনের অন্দরে উদ্বেগের চিত্রই সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকারের ১০ মন্ত্রী ও রাজ্যের ২০ বিধায়ক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার আজ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ যদি এইভাবেই বাড়তে থাকে তবে আগামী দিনে রাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ করার পথেই হাঁটবে সরকার।
মহারাষ্ট্রে আগের দিনের তুলনায় করোনা সংক্রমণ প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে রাজ্যে ৮ হাজার ৬৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেই খবর। উপমুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার জানিয়েছেন, “সম্প্রতি আমরা বিধানসভার অধিবেশনের সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করেছি। এখনও অবধি রাজ্যের ১০ জন মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সকলেই নতুন বছর উদযাপন, জন্মদিন সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী থাকেন। কিন্তু সকলের মনে রাখা উচিৎ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই জন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বেশ কিছু রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও পুনেতে করোনা সংক্রমণের হার সর্বাধিক।” তিনি জানিয়েছেন, সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এইভাবেই সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। তাই বিধিনিষেধ এড়াতে সকলকে কোভিডবিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে অজিত পাওয়ার।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণে ভুগছে গোটা বিশ্ব। কখনও বেড়েছে। কখনও কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই দু’বছরে করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বেরিয়েছে। যাতে আক্রান্ত হয়েছেন বহুজন। এদিকে, আতঙ্ক ধরাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্বের পাশাপাশি সারা দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৪৬০ জন। দেশে ৮ হাজার ৯৪৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৩১২ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে, একলাফে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৪৩১ দাঁড়িয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৬১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দেশের ২৩টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্ট।