Mob Lynching: গাছ কাটায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! ১৫০ জন মিলে পিটিয়ে মারল এক ব্যক্তিকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 05, 2022 | 2:19 PM

Mob Lynching: সিমদেগা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত সঞ্জু যে গাছটি কাটতে গিয়েছিল, সেটিকে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের পুজো করেন। নির্দিষ্ট ওই গাছটির সঙ্গেও ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে।

Mob Lynching: গাছ কাটায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! ১৫০ জন মিলে পিটিয়ে মারল এক ব্যক্তিকে
অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযোগ

Follow Us

রায়পুর: জীবনের সবথেকে বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়াল গাছ কাটাই। না বুঝেই একটি গাছ কেটে ফেলার অপরাধে ঝাড়খণ্ডে পিটিয়ে মারা (Mob Lynching) হল এক ব্যক্তি। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই ব্যক্তি যে গাছটি কেটেছে, তা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। সেই কারণেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় ও পরে দেহটি জ্বালিয়েও দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড(Jharkhand)-র সিমদেগা অঞ্চলে। মঙ্গলবার দুপুরে সঞ্জু প্রধান নামক ওই যুবক কোলেবিরা পুলিশ স্টেশনের অধীনে সিমদেগায় একটি গাছ কাটে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই একদল লোক মঙ্গলবার তাঁকে ধরে ফেলে ও মারধর শুরু করে। পরে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন যোগ দিয়ে ওই যুবককে লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

পুলিশের বক্তব্য:

সিমদেগা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত সঞ্জু যে গাছটি কাটতে গিয়েছিল, সেটিকে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের পুজো করেন। নির্দিষ্ট ওই গাছটির সঙ্গেও ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে। গত অক্টেবর মাসে সঞ্জু ওই প্রজাতির একাধিক গাছ কেটে ফেলে এবং তার কাঠ বিক্রি করে দেয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয় মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। মঙ্গলবার সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ জড়ো হয়ে বৈঠক করে এবং অভিযুক্তকে উচিত শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতোই তারা সঞ্জুর উপর চড়াও হয়ে ব্যপক মারধর করে, যারফলে তার মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, এর আগেও  সঞ্জু ওই নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের তরফে সতর্ক করা হলেও, সে কোনও কথা শোনেনি। মঙ্গলবারও পুজিত একটি গাছ কাটার চেষ্টা করলেই তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে ১৫০ জন মানুষ।

পরিবারের দাবি:

মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রখম ক্ষিপ্ত জনতা তাকে লাঠি ও ইট দিয়ে মারধর করে। পরে সঞ্জু মারা গিয়েছে বুঝতে পারলে, তারা দেহটিকে জ্বালিয়ে দেয়। পরিবারের তরফে সুবিচারের দাবি করা হয়েছে।

সিমদেগার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডঃ শামস তাবরেজ বলেন, “দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে যে মারধরের কারণে নাকি পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Next Article