Pahalgam attack: অপারেশনের পর ঘন পাইনের ভিতর দিয়ে কোন পথে পালাতে পারে জঙ্গিরা? কী বলছে গোয়েন্দারা?
Pahalgam attack: সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগের একাংশ মনে করছে, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে কোনও যানবাহনে নীচে নেমে আসা সম্ভব নয়। বৈসরনে ওঠা-নামার রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম। যেখানে পৌঁছতে হলে হেঁটে কিংবা খচ্চরের পিঠেই যেতে হবে।

শ্রীনগর: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিদমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। তিন যে জঙ্গির ছবি, স্কেচ সামনে এসেছে, তারা অপারেশনের পর কোন পথ দিয়ে পালিয়েছে, কোন রুট ব্যবহার করেছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য তদন্তকারীদের কাছে এখনও নেই। কোনও রকমের ইঙ্গিতও এখনও মেলেনি। আর এখানেই আতঙ্ক থেকে গিয়েছে।
সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগের একাংশ মনে করছে, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে কোনও যানবাহনে নীচে নেমে আসা সম্ভব নয়। বৈসরনে ওঠা-নামার রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম। যেখানে পৌঁছতে হলে হেঁটে কিংবা খচ্চরের পিঠেই যেতে হবে। সেক্ষেত্রে এজেন্সি এটাও মনে করছে, জঙ্গিরা হেঁটেই ওই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে তারা শেষ পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেই। সেটা কোন দিক থেকে করবে সেটা স্পষ্ট নয়।
কয়েকটি দিককে আন্দাজ করে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, পীর পাঞ্জারের আপার রেঞ্জে পৌঁছতে পারে, তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের দিকে এগোতে পারে। পাশাপাশি ত্রালের দিকে এগনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্ত জায়গাগুলোকে কার্যত কর্ডন করে, যানবাহন যাতায়াত বন্ধ করে সিকিউরিটি চেক করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও জম্মু-রাজৌরি-পুঞ্চগামী রাস্তাগুলিতে তল্লাশি চলছে। মুঘল রোডেও নজরদারি চালাচ্ছে সেনা। বুধবার উরি হয়ে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেই অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়।
