নয়া দিল্লি: ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) ঘিরে সাজো সাজো রব দেশে। স্বাধীনতা দিবসেই ভারতে হতে পারে জঙ্গি হামলা (Terror attack)। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং জঈশ-ই-মহম্মদ (JeM) ভারতে নাশকতার ছক কষছে এবং তাদের ‘প্রাথমিক নিশানা’ দিল্লি বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাই ১৪ অগস্ট, সোমবার থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সমগ্র রাজধানী (Delhi)। রেলস্টেশন সহ দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। এককথায়, ‘হাই অ্যালার্ট’ (High Alert) জারি করা হয়েছে সমগ্র দিল্লিতে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সময়ই দিল্লিতে নাশকতা হামলার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি। বিদেশি সংস্থাগুলি ছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিরও কাছে স্বাধীনতা দিবসে দেশে জঙ্গি হামলা এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার খবর রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে খবর পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী।
গোপন সূত্রে গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন যে, চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন LeT তাদের সঙ্গীদের দিল্লির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়। মূলত, বিশেষ-বিশেষ রোড, রেলের বিভিন্ন এলাকা এবং দিল্লি পুলিশ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)-র হেডকোয়ার্টারের উপর নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া মে মাসে জঙ্গিদের একটি ভিডিয়োবার্তা গোয়েন্দাদের হাতে আসে। সেটিতে শোনা যায়, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের এক সক্রিয় কর্মী দাবি জানাচ্ছে, দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে JeM। পাক-জঙ্গি সংগঠন এবং বিশ্বের জিহাদি সংস্থাগুলি প্রাথমিকভাবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করারই হুমকি দিচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর রিপোর্টের ভিত্তিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং সেখানে দেশ-বিদেশের বহু অতিথির সমাগম হবে। তাই ওই এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সোমবার থেকেই লালকেল্লা চত্বরে ১০ হাজার পুলিশকর্মী নজরদারি চালাচ্ছেন। ১ হাজার ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম-সহ নজরদারির বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়া যে সমস্ত গাড়ি শহর ঢুকছে, সেগুলিতে চেকিং চালানো হচ্ছে। লালকেল্লা চত্বরের পাশাপাশি ইন্ডিয়া গেট, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর-সহ দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর, স্টেশন, বিমানবন্দরেও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।