Shehbaz Sharif: ‘ধন্যবাদ…’, পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী
Pakistan Flood: পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে টুইট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
ইসলামাবাদ: গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বহু ঘর-বাড়ির, ক্ষতি হয়েছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসলের, মৃত্যু হয়েছে বহু গবাদি পশুরও। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশটির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার (৩১ অগস্ট) এই জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, তাঁর দেশ অবশ্যই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠবে।
এদিন এক টুইট বার্তায় শাহবাজ শরিফ বলেছেন, “বন্যার কারণে সৃষ্ট মানবসম্পদের ও বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে শোক প্রকাশ করার জন্য আমি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, পাকিস্তানের জনগণ তাদের চারিত্রিক দৃঢ়তার সঙ্গে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকূল প্রভাব কাটিয়ে উঠবে এবং তাদের জীবন ও সম্প্রদায় পুনর্গঠন করবে।”
সোমবারই (২৯ অগস্ট), প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানে বন্যার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি দুঃখিত। সেই দেশে যাতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে, সেই কামনাও করেছিলেন। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছিলেন, “পাকিস্তানে বন্যার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখে দুঃখিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার, আহতদের এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আশা করি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।”
পাকিস্তান সরকারের হিসেব অনুযায়ী এখনই বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মোকাবিলা করছিল পাকিস্তান। তার উপর এই নজিরবিহীন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে পাকিস্তানে এখন চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে খাদ্য সহায়তা করার কথাও চিন্তা-ভাবনা করছে ভারত, এমনটাই জানিয়েছিল সরকারি সূত্র। সরকারিভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের সহায়তা না চাওয়া হলেও, একাধিক পাক মন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন, ভারতের থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করার কথা ভাবছেন তাঁরা।