শ্রীনগর: স্বাধীনতা দিবসের আগেই বড়সড় নাশকতার ছক কষেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা। নিশানা বানানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীরা কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই স্বাধীনতা দিবসের আগে বা স্বাধীনতা দিবসের দিনই জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপরও হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের।
গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল বাদরে ও চেলাবান্দির মতো বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন বৈঠক করেছে। কোন কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালানো যায়, তারও ছক কষা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীরা একটি কন্ট্রোল রুমও তৈরি করেছে।
নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে যে পথগুলি দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা, তার জন্য মোট আটটি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রুটগুলি হল-
রুট ১: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নালি থেকে মহাদেব গ্যাপ দিয়ে দুন্ধেসর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের কালাকোটে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রুট ২: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোতকোতরা থেকে ব্রাল গালি হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের কালাকোটে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রুট ৩: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিকাইল থেকে মাঞ্চোত হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের কোঙ্গা গালি ও দাদোটে প্রবেশের পরিকল্পনা রয়েছে।
রুট ৪: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বানতাল গ্রাম থেকে কাশ্মীরের কাস নালায় প্রবেশের ছক রয়েছে।
রুট ৫: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গোই থেকে সোনে গালি, নান্দেরি হয়ে গুরসাঁই সুরানকোটে ঢোকারও পরিকল্পনা রয়েছে।
রুট ৬: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তারকুন্ডি থেকে কান্দি হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বুদাহালেও রয়েছে প্রবেশ করার পরিকল্পনা।
রুট ৭: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দাবাসি থেকে প্রথমে হারনি জঙ্গল ও পরে উপত্যকার সুরানকোটে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল।
রুট ৮: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কুইরেট্টা থেকে মোহরা অঞ্চল ধরে উপত্যকায় প্রবেশের পরিকল্পনা রয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে ২৭ টি নতুন সন্ত্রাসঘাঁটি তৈরি করেছে। গত জুন মাস থেকেই ১৪৬ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী সেখানে লুকিয়ে রয়েছে। আরও পড়ুন: ক্যাশলেস লেনদেনের জগতে নতুন পদক্ষেপ, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আসছে এ বার ‘ই-রুপি’