Parliament: সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব বলেন, "আমরা সবাই কৃষকদের এমএসপির দাবি করছিলাম, কিন্তু সরকার কৃষকদের বদলে, জোটসঙ্গীদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ কিছু পায়নি। উত্তর প্রদেশের তো দ্বিগুণ লাভ পাওয়া উচিত ছিল, যেহেতু ডবল ইঞ্জিন সরকার।"
সংসদের বাইরে বিক্ষোভ বিরোধী সাংসদদের।
Image Credit source: PTI
Follow Us
নয়া দিল্লি: বাজেট নিয়ে বেজায় চটে বিরোধীরা। এই বাজেটে শুধুমাত্র দুই রাজ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। ‘বঞ্চনা’র এই বাজেট নিয়েই আজ উত্তাল সংসদ। অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদ ভবনের সিড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। অন্যদিকে, অধিবেশন শুরু হতেই স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব বলেন, “আমরা সবাই কৃষকদের এমএসপির দাবি করছিলাম, কিন্তু সরকার কৃষকদের বদলে, জোটসঙ্গীদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ কিছু পায়নি। উত্তর প্রদেশের তো দ্বিগুণ লাভ পাওয়া উচিত ছিল, যেহেতু ডবল ইঞ্জিন সরকার। আমার মনে হয়, লখনউয়ের মানুষ দিল্লির লোকদের রাগিয়ে দিয়েছে। তারই ফল বাজেটে দেখা যাচ্ছে।”
#WATCH | Delhi: Samajwadi Party Chief Akhilesh Yadav says, “… We were all asking for MSP for farmers, a package for farmers and the poor. But this government is giving packages to those who are running the government… Not that we are not in favour of states getting packages… pic.twitter.com/dVRo3XLFmA
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, “সরকার বঞ্চনা করেছে। শুধুমাত্র অন্ধ্র প্রদেশ ও বিহারকে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের জোটসঙ্গী, তাদের সবকিছু দেওয়া হয়েছে।”
কংগ্রেস সাংসদ মানিকরাম ঠাকুর বলেন, “তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা ও হিমাচল প্রদেশেও বন্যা হয়। কিন্তু বাজেটে এই রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনা করা হয়েছে। এটা কুর্সি বাঁচাও বাজেট। মনরেগা ফান্ড, শিক্ষা, শিক্ষা ঋণে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তরা এতে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী হবে।”
রাহুল গান্ধী বলেন, “এই বাজেট বিদ্বেষমূলক, বঞ্চনার।” মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাজেটে বহু রাজ্য নায্য বরাদ্দ পায়নি। আমরা ন্যায়ের জন্য লড়ছি।”
এ দিন বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, রণদীপ সূরজেওয়ালা সহ একাধিক সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্রকে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির সাংসদরাও উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আলোচনার সূচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। মোট ২০ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য। আজ বিজেপির তরফে আলোচনার সূচনা করবেন নিশিকান্ত দুবে এবং অনুরাগ ঠাকুর। কংগ্রেসের তরফে আজ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন কুমারী সেলজা এবং শশী থারুর।