ভিজিনাগারাম: ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (coromandel express)। ওই লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। সেই সময় আবার ডাউন লাইন দিয়ে আসছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং আশপাশের লাইনে ছিটকে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনারই ছায়া দেখা গেল এবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিজয়নগরম জেলায়। দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ধাক্কা মারল এক্সপ্রেস ট্রেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি বালাসোর থেকে থেকে মাত্র ৫৮৮ কিমি দূরে।
ইস্ট কোস্ট রেল সূত্র জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গরা যাচ্ছিল একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। কান্তাকাপাল্লি এবং আলমাটটি স্টেশনের মাঝে আচমকাই ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে। ফলে সেখানেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখনই প্রায় ১০০ কিমি বেশি গতিতে ছুটে আসা পালাসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কার জেরে ওই যাত্রীবাহী ট্রেনের তিনটি কামরা ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সম্পূর্ণ উল্টে যায় তিনটির মধ্যে একটি কামরা। এদিকে, এই সংঘর্ষের জেরে পালাসা এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
তবে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। যখন ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়, তখন ওই লাইনে কীভাবে ওই লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে এল? দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটির চালক কি বিষয়টি নিকটবর্তী স্টেশনের কেবিনে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন? যদি জানিয়ে থাকেন তাহলে কেন ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে অন্য লাইনে দেওয়া হল না? সবমিলিয়ে, ফের রেলের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। যদিও রেলের তরফে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।