Mumbai court: ‘যৌনকর্ম অপরাধ নয়, তবে…’, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ মুম্বই আদালতের

Mumbai court observation: যৌন কর্ম বা যৌন পেশা কোনও অপরাধ নয়। শুধুমাত্র কোনও সর্বজনীন স্থানে এই কাজ করলে তা যখন অপরের বিরক্তির কারণ হয়, সেই ক্ষেত্রে যৌন কর্মকে অপরাধ বলা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত।

Mumbai court: 'যৌনকর্ম অপরাধ নয়, তবে...', গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ মুম্বই আদালতের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 11:50 PM

মুম্বই: যৌন কর্ম বা যৌন পেশা কোনও অপরাধ নয়। শুধুমাত্র কোনও সর্বজনীন স্থানে এই কাজ করলে তা যখন অপরের বিরক্তির কারণ হয়, সেই ক্ষেত্রে যৌন কর্মকে অপরাধ বলা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত। গত ফেব্রুয়ারিতে মাসে মালান্দের এক পতিতালয়ে পুলিশি অভিযানের আটক করা হয়েছিল এক ৩৪ বছর বয়সী মহিলা যৌনকর্মীকে। ১৫ মার্চ এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে যত্ন, সুরক্ষা এবং আশ্রয়ের জন্য এক বছর মুম্বাইয়ের এক আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কে দায়রা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের সেই রায় খারিজ করে দায়রা আদালত ওই মহিলাকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে।

মুম্বই শহরতলির মালান্দ এলাকার এক পতিতালয়ে অভিযান চালিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে ওই মহিলাকে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ। এরপর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয় এবং আরও দুই যৌনকর্মীর সঙ্গে তাঁকে মাজগাঁওয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। মেডিকেল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা নাবালিকা নন। তাঁকে এক বছরের জন্য দেওনরের নবজীবন মহিলা আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দায়রা আদালতে করা আবেদনে, অভিযুক্ত মহিলা অবশ্য কোনও অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারক সি ভি পাতিল বলেছেন, এর আগে ওই মহিলা প্রকাশ্যে যৌনকর্মে লিপ্ত থাকার অপরাধে জড়িত ছিলেন। সেই আগের ঘটনার ভিত্তিতেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কিন্তু, একজন যৌনকর্মী হিসেবে তাঁর কাজ করার অধিকার আছে।

দায়রা আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, মহিলা জনসমক্ষে যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন এমন কোনও অভিযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র এই কাজ তিনি আগে করেছিলেন, সেই ভিত্তিতে আবেদনকারীকে আটক করা ঠিক নয়। আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার দুই সন্তান রয়েছে। তাদের অবশ্যই মাকে প্রয়োজন। আবেদনকারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করা হলে, এটা তাঁর সমগ্র ভারতে অবাধে চলাফেরার অধিকারকে খর্ব করবে। তাই আইনগত অবস্থান বিবেচনা করে, ১৫ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া আদেশ খারিজ করা এবং আবেদনকারীকে স্বাধীনতা দেওয়া দরকার।