AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PIL in Supreme Court: ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে’, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পরই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

Modi Surname Controversy: জনস্বার্থ মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, "রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য যথেচ্ছভাবে এই আইন ব্যবহার করছে। সাংসদদের অপরাধ যাই-ই হোক না কেন, অপরাধের প্রকৃতি, তা কতটা গুরুতর, সেই সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা না করেই সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।"

PIL in Supreme Court: 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে', রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পরই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
সুপ্রিম কোর্ট।
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 12:25 PM
Share

নয়া দিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ২০১৯ সালের ফৌজদারী মানহানি মামলায় (Criminal Defamation Case) দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর সাজা ঘোষণার পরেই খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। এই নিয়েই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এবার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গ্রেফতারির পর তাদের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা (PIL)। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী সাংসদ পদ খারিজের নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংসদ পদ খারিজের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় পর্যালোচনা করা হয়, তা জানতে চেয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, আভা মুরলীধরন নামক কেরলের এক সমাজকর্মী সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন। জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, কোনও সাংসদের পদ খারিজ করার আগে অভিযুক্তের ভূমিকা, মামলার প্রকৃতি, নৈতিকতা সহ একাধিক বিষয় পর্যালোচনা করা উচিত। শীর্ষ আদালতে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়েছে, “৮(৩) ধারার ব্য়বহার করে সাংসদ পদ খারিজের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মিথ্যা রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করছে। এরফলে জনপ্রতিনিধিত্বের যে গণতান্ত্রিক কাঠামো রয়েছে, তাতে সরাসরি আঘাত করা হচ্ছে। এরফলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।”

জনস্বার্থ মামলার আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, “রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য যথেচ্ছভাবে এই আইন ব্যবহার করছে। সাংসদদের অপরাধ যাই-ই হোক না কেন, অপরাধের প্রকৃতি, তা কতটা গুরুতর, সেই সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা না করেই সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। এটি সাধারণ ন্যায়বিচারের বিরোধী, কারণ একাধিক ক্ষেত্রেই শাস্তির রায় পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে।”

জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে কী কী শর্তে সাংসদের পদ খারিজ করা হয়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।