নয়া দিল্লি: বিদায় নিলেও স্মৃতি থেকে এখনই মোছা যাচ্ছে না ঘূর্ণিঝড় রেমালকে। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় ও উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গে দাপট দেখানোর পর, এই ঘূর্ণিঝড় বড়-সড় আঘাত হেনেছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। জায়গায় জায়গায় ধস ও বন্যার কারণে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বহু মানুষের প্রাণহানি এবং ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশের অন্যদিকে আবার সম্পূর্ণ অন্য পরিস্থিতি। তাপপ্রবাহে পুড়ছে উত্তর ও পশ্চিম ভারত। এই অবস্থায় কন্যাকুমারীতে ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান পর্ব সেরে এসেই কাজে নেমে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রবিবার (২ জুন), দেশের তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড় রেমাল-পরবর্তী অবস্থা, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির অবস্থা পর্যালোচনার জন্য এক বৈঠকের সভাপতিত্ব করলেন তিনি। বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করেন বিভিন্ন দফতরের আমলারা। মিজোরাম, অসম, মণিপুর, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায়, ধস ও বন্যার কারণে কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে, কত ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকের সময়, আমলারা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, প্রত্যেক রাজ্যের সরকারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রয়োজন অনুযায়ী জাতীয় বিপর্যয় মোকাহিলা বাহিনীর দলগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা উপদ্রুত এলাকাগুলি থেকে মানুষদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বন্যা-দুর্গত এলাকার মানুষদের পরিত্রাণে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিকপ্টার। এনডিআরএফ-এর কর্মীরা ধসে আটকে থাকা রাস্তাগুলিও পরিষ্কার করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তাও পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিসভার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব প্রমুখ।
এদিনে, শপথ নেওয়ার নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কাজ নিয়েও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, প্রায় সকল বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ-র বিশাল জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভাকে প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি ও উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন মোদী।