নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন শেষ। নির্বাচকরা নিজের নিজের মত দিয়ে দিয়েছেন। এখন আর তা বদলানো যাবে না। দু’দিন পরই সেই দিন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন। ঠিক তার আগে, রবিবার (২ জুন), নির্বাচন কমিশনের দরজায় কড়া নাড়ল বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি – উভয় পক্ষই। দুজনেরই বিষয়, গণনার সময়ের নির্দেশিকা। মঙ্গলবারের গণনার সময়, যাতে সমস্ত নির্দেশিকা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছে বিরোধীরা। আর এরই পাল্টা পদক্ষেপে, বিরোধীরা ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার সমন্বিত প্রচেষ্টা’ করছে বলে, নির্বাচনী সংস্থাকে সতর্ক করেছে বিজেপি। ইন্ডিয়া এবং বিজেপি -দুই পক্ষের নেতারাই এদিন কমিশনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
কী বলল ইন্ডিয়া?
কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, দুই-তিনটি বড় ইস্যু তাঁরা তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ফলাফল ঘোষণার আগে পোস্টাল ব্যালটের গণনা করা এবং ফলাফল ঘোষণা করা। এই বিষয়ে স্পষ্ট নিয়ম থাকা সত্ত্বেও, এই নিয়মকে কাঁচকলা দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, ইভিএম-এর কন্ট্রোল ইউনিটগুলিকে সিসিটিভির নজরদারির মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে বলেছেন তাঁরা। এছাড়া কন্ট্রোল ইউনিটে বর্তমান তারিখ এবং সময় দেখাচ্ছে কিনা, তাও যাচাই করতে হবে। কন্ট্রোল ইউনিটে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার শুরু এবং শেষের সময় ও তারিখ পরীক্ষা করাও উচিত বলে জানান তিনি।
সতর্ক করল বিজেপি
বিরোধীরা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করার পরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দলও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘ইন্ডি জোট’ এবং কিছু সিভিল সোসাইটি গ্রুপ ও এনজিও, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে নষ্ট করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে তাঁরা চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন। প্রথমত, গণনা প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রত্যেক আধিকারিককে এই প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি জানতে হবে এবং সমস্ত প্রোটোকল নিষ্ঠার সঙ্গে মানতে হবে। দ্বিতীয়ত, গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টার বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। চতুর্থত, এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।