নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে সবথেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে অক্সিজেনের (Oxygen) অভাব। দেশের সব রাজ্যেই দেখা গিয়েছে সেই ছবি। প্রাণবায়ুর অভাবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করেছে। দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা প্রশমিত হলেও করোনা এখনও পরাস্ত হয়নি। তাই আজ, শুক্রবার করোনা সংক্রান্ত পর্যালোচনায় অক্সিজেনের বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ কতদূর এগোল, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিলেন তিনি। দেশ জুড়ে তৈরি হচ্ছে ১৫০০ অক্সিজেন প্লান্ট।
এ দিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই সব প্লান্টগুলি সক্রিয় হলে ৪ লক্ষ বেডে অক্সিজেন পৌঁছনো সম্ভব হবে। শুধু পিএম কেয়ারের টাকা নয়, বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার অবদান রয়েছে এই প্লান্ট তৈরির ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, প্লান্ট তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে। অক্সিজেন প্লান্ট সক্রিয় রাখার জন্য উপযুক্ত ট্রেনিং যাতে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক জেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী রাখার কথা বলা হয়েছে। আধিকারিকরা মোদীকে জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে ৮০০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে বিশে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্লান্টগুলির তৈরির পর সে গুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থা থাকা দরকার যাতে সব জায়গা থেকে প্লান্টগুলির সক্রিয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যায়। শুক্রবার সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অক্সিজেন পরিকাঠামো নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের রিভিউ বৈঠক করেন। সেখানে প্রধামন্ত্রীর সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই কি সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্ভব? কোন পথে এগোলে মিলবে সমাধান?
ইতিমধ্যেই কেরল, ছত্তীসগঢ়, ত্রিপুরা সহ ছ’টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সেখানে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য। দেশে বাড়ানো হয়েছে টিকাকরণের হারও। গতকাল নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মান্ডব্য জানান, আগামিদিনের কথা ভেবে অক্সিজেন, বেড ও জরুরি ওষুধ নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। ২৩,১২৩ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্যাকেজও ঘোষণা করেন তিনি।