ডিসেম্বরের মধ্যেই কি সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্ভব? কোন পথে এগোলে মিলবে সমাধান?

COVID-19 Vaccination: রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান ডঃ এনকে অরোরা।

ডিসেম্বরের মধ্যেই কি সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্ভব? কোন পথে এগোলে মিলবে সমাধান?
করোনা টিকাকেন্দ্রে লম্বা লাইন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 1:27 PM

নয়া দিল্লি: চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যেই দেশের সমস্ত নাগরিকের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। বিরোধীরা এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সন্দিহান হলেও টিকাকরণের জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ডঃ এনকে অরোরার মতে, কেন্দ্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকলকে করোনা টিকা দিতে সফল হবে।

দেশে বর্তমানে অনুমোদন পেয়েছে চারটি ভ্যাকসিন- কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, মডার্না ও ফাইজ়ার। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পেতে পারে জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনও। এছাড়াও কোভোভ্যাক্স, কোর্বেভ্যাক্স সহ একাধিক করোনা টিকার প্রস্তুতি ও ট্রায়াল চলছে। ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক হারে টিকা সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। ফলে টিকাকরণের প্রধান সমস্যা, টিকার অভাব দূর হবে। তবে দিনের শেষে টিকাকরণের দায়িত্ব রাজ্যগুলির উপরেই, সুতরাং কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাজ্যগুলিকে টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করতে হবে।

এই বিষয়ে ডঃ এনকে অরোরা বলেন, “যদি জুন-জুলাইয়ের টিকাকরণের রেখাচিত্র দেখা হয়, তবে বোঝা যাবে টিকা উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাস অবধি ৫.৬ কোটি টিকা পাওয়া যেত প্রতি মাসে, বর্তমানে মাসে ১০ থেকে ১২ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। আগামী মাস থেকে এই সংখ্যাটিই ১৬ থেকে ১৮ কোটিতে পৌঁছে যাবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি মাসে ৩০ কোটিরও বেশি টিকা উৎপাদন ও সরবরাহ হবে।”

রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান ডঃ এনকে অরোরা। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য গোটা দেশজুড়ে কমপক্ষে ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টিকাকেন্দ্রের প্রয়োজন।”

বিগত এক সপ্তাহ ধরেই দেশে গড় টিকাকরণের সংখ্যা ৪০ লক্ষের কাছাকাছি, তবে কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে গেলে দৈনিক ৮০ লক্ষ মানুষের টিকাকরণের প্রয়োজন। আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হলেও যে হারে পর্যটক কেন্দ্রগুলিতে ভিড় দেখা যাচ্ছে, তাতে আরও আগেই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক-গবেষকরা।

আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় ‘করোনা টোটকা’র পর আজ রিভিউ বৈঠক, অক্সিজেনের হালহকিকত যাচাই করবেন নমো