Mann Ki Baat: অলিম্পিকে উৎসাহ জোগান ‘ভিকট্রি পাঞ্চে’, বার্তা নমোর, মনে করিয়ে দিলেন করোনার উপস্থিতিও

PM Narendra Modi on Mann ki Baat: প্রধানমন্ত্রী জানান, মন কি বাত অনুষ্ঠানে যারা বার্তা বা পরামর্শ পাঠায়, তাদের ৭৫ শতাংশের বয়সই ৩৫ বছরের নীচে। অর্থাৎ মন কি বাত অনুষ্ঠানটি দেশের যুব দের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে।

Mann Ki Baat: অলিম্পিকে উৎসাহ জোগান 'ভিকট্রি পাঞ্চে', বার্তা নমোর, মনে করিয়ে দিলেন করোনার উপস্থিতিও
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 1:34 PM

নয়া দিল্লি: মাসের শেষ রবিবারে ফের “মন কি বাত: শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি টোকিও অলিম্পিকে ভারতের দুর্দান্ত সূচনার কথা উল্লেখ করে সকলের কাছে ভারতীয় দলকে সমর্থন করার অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের সূচনাতেই প্রধানমন্ত্রী “ভিকট্রি পাঞ্চ” কর্মসূচির ঘোষণা করেন, যেখানে ভারতীয় অলিম্পিক দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন জানানোর কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অলিম্পিক দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভিকট্রি পাঞ্চ ক্যাম্পেন শুরু হয়েছে। আপনারাও নিজেদের দলের সঙ্গে ভিকট্রি পাঞ্চ শেয়ার করুন ও ভারতকে সমর্থন করুন।”

টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা দেখে তাঁর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল বলে জানান। বাকিদের অভিজ্ঞতাও একইরকম ছিল বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। সকলেই যেন অলিম্পিক চলাকালীন এভাবেই সমর্থন জারি রাখেন, সেই অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামিকাল, ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস। এ দিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে সকলকে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে বিজয়ী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “আগামিকাল কার্গিল বিজয় দিবস। কার্গিল যুদ্ধ সেনাবাহিনীর নিয়মানুবর্তিতা ও জয়ের প্রতীক, যার সাক্ষী গোটা বিশ্ব ছিল। আমি চাই, আপনারা কার্গিলেরগল্প পড়ুন। আসুন আমরা সকলে মিলে কার্গিলের সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই। ”

এ বছরের স্বাধীনতা দিবসও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী, কারণ এ বছর স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে আগেই প্রধানমন্ত্রী অমৃত মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ফের একবার সকলকে যোগদান করার অনুরোধ জানান তিনি।

ভোকাল ফর লোকালের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নিত্যদিনের মৃকাজের মাধ্যমেও নিজের দেশকে গড়ে তুলতে পারি। স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্য়োগপতি, শিল্পীদের সমর্থন করা আমাদের স্বভাবে পরিণত হওয়া উচিত। একটা সময় ছিল, যখন ছোটখাটো নির্মাণ কাজেও কয়েক বছর সময় লেগে যেত। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির দৌলতে সেই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসছে।”

সম্প্রতি জর্জিয়ায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেইন্ট কুইন কেতেভানের অস্থর অংশ তুলে দিয়ে যে নতুন সম্পর্কের সূচনা করেছেন, সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানান সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেসিং লুংকেও, সিলাট রোড গুরুদ্বারের সংস্কারের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী জানান, মন কি বাত অনুষ্ঠানে যারা বার্তা বা পরামর্শ পাঠায়, তাদের ৭৫ শতাংশের বয়সই ৩৫ বছরের নীচে। অর্থাৎ মন কি বাত অনুষ্ঠানটি দেশের যুব দের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে। যুব সম্প্রদায় যদি এভাবেই এগিয়ে আসে, তবে উন্নয়নের পথ আরও মসৃণ হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিবারের মন কি বাত অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাফল্যের নানা কাহিনী তুলে ধরেন, এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মণিপুরের উখরুলে কীভাবে আপেল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে, সে সম্পর্কে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর বের বা কুল চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরার উনাকোটির বাসিন্দা বিক্রমজিৎ চাকমার উদাহরণ দিয়ে কুল চাষের লাভ সম্পর্কে জানান প্রধানমন্ত্রী।

করোনা টিকাকরণে সাধারণ মানুষকে উৎসাহী করার জন্য বহু সাধারণ মানুষ বা ব্যবসায়ীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। চণ্ডীগঢ়ের সঞ্জয় রাণাজী যেমন করোনা টিকা নিলেই বিনামূল্যে “ছোলে-ভাটুরে” খাওয়াচ্ছেন, এইধরনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নমো।
তামিলনাড়ুর নীলগিরিতে অসুস্থ রোগীদের উচু পার্বত্য অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে অ্যামবুক্স প্রকল্প শুরু করা হয়েছে, তাকেও সাধুবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কথাও ফের একবার মনে করিয়ে দেন তিনি।
https://twitter.com/ANI/status/1419177848447782914?s=20
সবশেষে তিনি আগামী উৎসব ও অনুষ্ঠানগুলির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “উৎসবের আনন্দে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে করোনা এখনও যায়নি। তাউই করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধও মনে রাখা জরুরি।” আরও পড়ুন: ‘অযোধ্যার মন্দিরে রাখা আছে বোমা’, এক ফোনেই ছুটল পুলিশ- বম্ব স্কোয়াড, গিয়ে দেখা গেল…