‘অযোধ্যার মন্দিরে রাখা আছে বোমা’, এক ফোনেই ছুটল পুলিশ- বম্ব স্কোয়াড, গিয়ে দেখা গেল…
Hoax Bomb Threat : শনিবার রাত ন'টা নাগাদ অযোধ্যার পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ওই উড়ো ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, ফিজাবাদ ক্যান্টনমেন্টের গেটের কাছে হনুমানগ্রাহী মন্দিরে বোমা রাখা আছে।
অযোধ্যা: রাত ন’টা নাগাদ আচমকাই কন্ট্রোল রুমে ফোন এল। ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়, অযোধ্যার হনমানগ্রাহী মন্দিরে রাখা রয়েছে বোমা। যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে সেই বিস্ফোরণ। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মন্দিরে ছুটল পুলিশ। যদিও রাতভর তল্লাশি চালিয়েও মিলল না কোনও বিস্ফোরক। বোমাতঙ্কে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়।
শনিবার রাত ন’টা নাগাদ অযোধ্যার পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ওই উড়ো ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, ফিজাবাদ ক্যান্টনমেন্টের গেটের কাছে অবস্থিত সাদাতগঞ্জ এলাকায় যে হনুমানগ্রাহী মন্দিরটি রয়েছে, সেখানে বোমা রাখা আছে। পুলিশ দ্রুত না পৌঁছলে শতাধিক মানুষ বিস্ফোরণে মারা যাবে।
এই ফোন পাওয়ার পরই খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা মন্দির চত্বর ফাঁকা করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েও কিছু না মেলায় ফিরে আসে পুলিশ। এ দিকে, যে নম্বর থেকে ওই উড়ো ফোনটি এসেছিল, তা ট্রাক করে দেখা যায়, অনিল কুমার নামক এক ব্যক্তির নামে রয়েছে ওই নম্বরটি। লোকেশন ট্রাক করে দেখা যায়, ফইজাবাদেই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আদতে কানপুরের বাসিন্দা হলেও বহুদিন ধরেই ফইজাবাদে থাকছিলেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মদ্যপ অবস্থায় তিনি মজা করতেই পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বোমা রাখার কথা বলেছিলেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অপরাধে ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: লাগাতার ড্রোনের আনাগোনা কেন? তুমুল প্রতিবাদ ভারতের, কম্যান্ডার বৈঠকে ‘মাথা হেট’ পাকিস্তানের