নয়া দিল্লি: কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হটানোই এখন বিরোধীদের পাখির চোখ। আর এটা বিরোধী-জোট ছাড়া কখনও সম্ভব নয়। তাই বিরোধী-জোট গড়তে আজ, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) মেগা বৈঠকে বসছে অবিজেপি দলগুলি। বিরোধী-জোট তৈরি করা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ, ভোট প্রচারের কৌশল সহ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে। স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসী থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এখন নজর বেঙ্গালুরুর সেই মেগা বৈঠকের টেবিলে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যেন গোটা বৈঠকের গুরুত্ব-ই লঘু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঙ্গালুরুর বৈঠকটি আদতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি বলেও তোপ দাগেন তিনি (PM Narendra Modi)।
এদিন নয়া দিল্লি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (পোর্ট ব্লেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) নয়া টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানেই পূর্বতন সরকারের কাজের সঙ্গে তাঁর সরকারের কাজের পরিসংখ্যান তুলে বিরোধীদের কড়া ভাষায় তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নাম না করে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজ বেঙ্গালুরুতে জড়ো হওয়া সকলে পরিবারতন্ত্রের কট্টর সমর্থক। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আদতে এদের সবকিছু পরিবারের জন্য, পরিবারের সঙ্গে, পরিবারের পক্ষে। এদের কাছে পরিবারই প্রথম, দেশ কিছু নয়। এদের জন্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই লক্ষ্য।” বর্তমান সরকারই দেশের যুবদের কথা ভাবছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তোপ, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দেশের যুবশক্তির সঙ্গে কখনও ন্যায় করেনি। এদের একটাই এজেন্ডা- নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি কর।”
এদিন বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের একই টেবিলে সামিল হওয়া আদতে দুর্নীতির দোকান খোলা বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, “এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়- ১) জাতিবাদের বিষ বিক্রি করা। ২) দুর্নীতি করা।” এপ্রসঙ্গে এক উর্দু কবিতার পংক্তিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে ২০ লক্ষ কোটির দুর্নীতি হচ্ছে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এরা যখন ক্যামেরার সামনে একই ফ্রেমে আসে তখন দেশবাসীর একটাই কথা মনে আসবে, এটা লাখো-কোটি টাকার দুর্নীতি। দেশের জনতা বলছে, এটা কট্টর দুর্নীতির সম্মেলন হচ্ছে।” যে সমস্ত নেতারা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত, জেলে গিয়েছেন অথবা আদালতের সাজাপ্রাপ্ত- তাঁরাই এই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণ পাচ্ছেন বলেও তোপ মোদীর।