নয়া দিল্লি: ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিজি-সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে মোদী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম ভাবে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছে রাজ্য সরকারকে। ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের পর প্রয়োজনীয় সহায়তার দিকটিও দেখার জন্য বলেছেন মোদী।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি টিম মোতায়েন রাখা হয়েছে। ওড়িশাতেও রয়েছে এনডিআরএফ-এর একটি টিম। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এছাড়াও আরও টিম প্রস্তুত রাখার জন্য। যাতে প্রয়োজন হলে এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের মোতায়েন করা যেতে পারে। উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদী। দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে রেল, সড়ক ও বন্দরগুলিতেও নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে শীর্ষ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ও আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেকথাও জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। প্রায় ১ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিষয়ে মৌসম ভবন থেকে বাংলাদেশকেও তথ্য পাঠানো হচ্ছে বলে বৈঠকে জানানো হয় মোদীকে।